রহিত ঘোষালের কবিতা

রহিত ঘোষালের কবিতা

অসীমে ঝাঁপ দেবে একাকী নদী

রহিত ঘোষাল

তুমি আমার বাড়ির ছাদে কাপড় মেলে
আমার মিথ্যে গায়ে পরে
একা একা চলে গেছ মহাসমুদ্রের কাছে
ওখানে আমাদের সদ্যোজাতকে
ভাসিয়েছ যেই
দেখলে
সেখানে তখন নদী এসেছে অসীমে ঝাঁপ দিতে
সে তোমাকে দেখে আর কিছু বলতে পারেনি
তার সমস্ত কথার মতো পলিমাটি
সে ডুবিয়ে দিতে ভুলে গেছে
তোমার হাতে স্যালাইন ফোটানোর ক্ষত থেকে
বহুমূল্য মুক্তো ঝরে পড়ছে
এসবের কিছুই তুমি আমাকে বলে যাওনি
সব আমি জেনেছি বালিয়াড়ির থেকে
শীতের রাতে শেষ বাসে তারপর তুমি
হারিয়ে গেছ ধুলোর দেশে
শুধু নবজাতকের কান্নাটুকু প্রতিধ্বনিত হচ্ছে এখন
যে লাইব্রেরীতে আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল

তুরীয় কুয়াশা

রহিত ঘোষাল

নীল রঙ আক্রান্ত আকাশের নীচে
ব্যর্থ হলুদ আলোর ক্রূর
নিবিষ্ট প্যাঁচা অকম্পিত রাখে রাত্রি
বাড়িতে বাড়িতে নেমে এলো তুরীয় কুয়াশা
এই রীতি সবার পরিচিত
আশ্লেষ মিশ্রিত অমরাত্মা
বারবার জেগে ওঠে নিষিদ্ধ অনুতাপে
লোকগীতি বয়ে যায় পথের নির্দেশ মেনে
অদ্ভুত বটবৃক্ষ মাঠে নেমে আসে চির বিশ্রাম
ওইখানে আমার জায়গা হয়নি
ওখানে আমার কোনও স্বজন রেখে আসিনি
তবে খুপরিতে ঘোমটা দেওয়া যে মেয়ে
প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রতি রাতে
শুধু মৃতদেহ পাহারা দেয়
তাকে আমি বহু যুগ আগে স্কুল পালানো বিকেলে
লুকিয়ে দেখতে দেখতে হয়েছি ক্ষতবিক্ষত
তার ইউনিফর্ম আমার চোখে আঁটা
আমরণ