সনজিৎ বণিকের কবিতা

সনজিৎ বণিকের কবিতা

আহাম্মক মানুষের গল্প

সনজিৎ বণিক

গতকাল বিকেলে এই আগরতলা বইমেলায় যে দুটি শিশু গলাগলি করে শীতবস্ত্রহীন ছেঁড়া জামা গায়ে বইয়ের স্টল-এ ঢুকতে যাচ্ছিল সেখানে দোকানের ম্যানেজার ওদের দিল না ঢুকতে স্টল-এ, ওদের স্পর্শ করতেও দিল না বই, ওরা বারবারই বলছে, আমরা পড়তে পারি তো, সত্যি সত্যি পড়তে পারি বই। আমরা সাঁতারও কাটতে পারি। আমরা গাছেও উঠতে পারি। আমরা দৌড়তেও পারি পি টি ঊষার মত। একবার অন্তত একবার বইটা ছুঁতে দিন, পাতা উল্টানো শেষ হইলেই দিয়া দিমু আর এখান থাইকা যামু গিয়া। লোকটি অনড়, তার কোনো হেলদুল নেই, তাড়িয়ে দিলেই যেন বাঁচে সে,
আপনাদের কষ্ট হচ্ছে এ কথাগুলোতে, আপনাদের আনন্দ হচ্ছে না ।
এ কেমন মানুষের কাছাকাছি বড় হচ্ছে আমাদের সন্তানেরা, এ কেমন অশিক্ষিত মানুষ যাঁর অন্তর জুড়ে পাষাণের রাজত্ব,
এজন্য সারাদিনই পাচ্ছে হাসি এবং ভেবেই চলেছি সারাক্ষণ আজব মানুষের কথা ভেবে, সেও আবার বইমেলায়।


গোবর

সনজিৎ বণিক

হরিপদ কেরানির কথা মোটেই না আজ। নিজের কথার ফাঁকে লুকিয়ে আছে বীজের স্বভাব। মানুষের কাছাকাছি যেতে হবে ভেবে এই পথ ধরে যাই রোজ,
টিলাভূমি ও সমতলের ঢেউ মেপে আদিবাসী আর সমতলের যে মিলনমেলা গাঢ় রহস্যে ভরা তা জেনে গেলেই সংসার বড়ো বেশি সতর্ক কিংবা মিলনভেলা সখ্যতার মূল্য যাঁরা বু‌ঝে সে-ই আদতে মানুষ
একসাথে ধান পুঁতে একসাথে খায় ভাত।
গোবরের কাজ নাকি শুদ্ধিকরণ, ভোরের উঠোন জুড়ে কখনো বা সারা বাড়ি ছড়িয়ে দেয় গোবর জল, শুদ্ধ হবে রাসায়নিক এক পদার্থের গুণাবলীর জোরে এই গোবর। মনে হয় স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ এই মাদকতায় গরুগুলোকে নিয়ে রোজ মাঠে চড়ে ঘাস খাওয়ায়। গোবরের ঘোঁটে সেসময় হাসে মুচকি মুচকি আনন্দে ।