ছায়াছবি
দেবাশিস মুখোপাধ্যায়
বন্ধ সবুজ দরজার কান্না
শহর শুনতে পায় না
কিন্তু একটি সোনার হরিণ
নিখোঁজ হয়ে যায় আকস্মিক
তোলপাড় হয়ে যাবার থাকলেও
ভীষণ শীতল
ভিতর বাজায় ছমছম ছমছম
নীল রঙটি এতটাই ছড়িয়ে
এই শুনশান রাস্তা ভীষণ অচেনা
নায়িকাকে একলা করে দিলে
ঠোঁট একটি গানের সঙ্গ প্রত্যাশায়
অথচ কিছুক্ষণ আগেও খুব কথা ছিল
বেঞ্চির আর উড়ে যাওয়া কাগজের
ভুল বানানের কাছে মৌটুসি পাখি
খুঁটে নেবার পর যা পড়ে থাকে
পিঁপড়ে বুঝে নেয়
ঝরাপাতার নীচে পার্কের দীর্ঘশ্বাস
অল্প অল্প করে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে
পুরনো টাইপ রাইটারের অসুস্থ অক্ষর
সম্পর্কের মধ্যে জমা জল আর তার বুকে এক বিকেল আকাশ
একটি প্রেমের কবিতা
দেবাশিস মুখোপাধ্যায়
চিরুনি আর কেশ বিন্যাস
সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে আয়নায়
মুখ পাল্টে আরেক মুখ এসে
একটা নৌকায় বসে যাচ্ছে কথা
কাছাকাছি নদী আর জোয়ারভাটা
ভূগোলে পড়া নয়
গোলেমালেই জমে পীরিত
বাতাসের ভাষায় ভাসা প্রবল টানে
টোল পড়লে বুঝতে পারি
অটল যা কিছু শ্লথ হয়ে যাচ্ছে
একটা লোভ লভের গল্পে এগিয়ে চলেছে ……
ক্রমশ সাহসী
দেবাশিস মুখোপাধ্যায়
আয়নায় আজ রবিবার কিছুটা মাংসাশী
বিকেলের সামুদ্রিক ভ্রমণে একটা চাঁদের লাশ
সোনার তরঙ্গ থেকে ক্রমশ চোখ সরিয়ে
ভালবাসাবাসি সেরে নি ঠোঁটের গভীরে ঢুকে
এইভাবেই প্রকাশ্যে খুলে সব দরজাগুলো
ওদের জানা দরকার পাথরে ফুলের ফুটে ওঠা
বেড়ে যাক বেড়ে যাক হৃদ্স্পন্দন দেয়ালে
এবারে সময় শীত থেকে বসন্ত রাস্তায় হাঁটা
মুখেরা সত্যি কথা বলে মুখোশ খুলবার পর
সন্ধ্যার যৌনতার দিকে চোখ নেমে যায়