
বিশ্বাস
সন্তোষ রায়
মানুষেরা নেমেছে মানুষের খোঁজে।
মাঠে পাথর-পলি-কাঠ-বাঁশ—
স্বর্গের বাড়ি ভেঙে জমেছে মর্ত্যের সংসারে।
হয়ত মানুষ এখনো কোথাও আছে —
বাকিসব লাশ।
লাশের ভেতর জল
জলের ভেতর লাশ
নীরব চারপাশ।
মাঝেমাঝে দু-একটি বুদবুদ ওঠে পলির গায়ে —
হয়ত মানুষ কোথাও আছে —

আনন্দ
সন্তোষ রায়
দুঃখ এলে সব পাখি ডেকে ওঠে একসাথে।
‘রাত্রি’ নামের কবিতাটির ভেতর খিল এঁটে বসে থাকি,
নিজেকে অন্ধকার লাগে,
দূরের নক্ষত্র দুরুদুরু,
ভাষার দরোজা খোলে না।
স্নায়ু টানে মেঘ,
সেতারে আনন্দ-বর্ষণ—
সে জলে দুঃখ নেই, আছে দুঃখের কারণ।
দুঃখ এলে সব কান্না সঙ্গীত হয়ে ওঠে—
কোমর দুলিয়ে নামে অশ্রু
তার আঁচল সমুদ্রগামী।
দুঃখ এলে তাই নৌকোয় পাল তুলি —