
আকাশের নীল
সনজিৎ বণিক
পৃথিবীর খোলা জানালার সামনে দাঁড়িয়ে দেখো,
মনোযোগ সহকারে দেখো আকাশকে,
কেমন নীলে আচ্ছন্ন।
নীচে সমুদ্রেও সব নীল, আকাশের ছায়া ছেলেবেলায় গায়ের জামাটার মতো।
কবে কে আমাকে কিনে দিয়েছিল সে জামা এখনো ধরে রেখেছি চোখের মায়ায়।
মা প্রায়ই বলতো, তোর গায়ের জামাটা দিন দিন দেখি আরো নীল হয়ে যাচ্ছে….
নীল জলে গুলে ধুয়েছিস কিনা !
আমি বলতাম পৃথিবীর এই সব রং কখনোই মুছে যায় না।
যতো দিন যায় সে রূপ মেলে ধরে,
যৌবনে গিয়েই সে সব ফ্যাকাশে হয়;
মা হেসে খুব মজা পেতো একথায়,
এই নীল কাহিনি আজো মনে আছে, মা।
চোখ
সনজিৎ বণিক
দেখলেই চলে সারাজীবন
কিছু বলার জন্য দেখাই জরুরি প্রতি মুহূর্ত,
কান টানলে মাথা আসে কাছাকাছি,
আদরও করা যায় আবার হেলাফেলা শাসনও;
ভালবাসার কথাও বলে দেয় চোখ,
কখনো নির্মম আবার কখনো উল্লাসে আনন্দঘন মুহূর্ত রচিত হয় চারদিক জুড়ে, এখন সারা জীবন সারাবেলা চোখই জরুরি আমাদের।
মুখ
সনজিৎ বণিক
ঠোঁটের ভাঁজে রং-এর প্রলেপ অনবরত রঙিন কথার খেউর ঝরছে,
গলগলে শব্দ কথা ঝালাপালা করে কান,
কখনো ঠোঁটের ফাঁক দিয়ে ভালবাসার শব্দ খেয়াল তুবড়ির মতো বেরোয়, রঙিন স্বপ্নের ভেতর ঘুরপাক খেতে থাকে এক ঝাঁক পাখি,
বাকি যা আছে সংসারে
সবই রঙিন স্বপ্ন,
মনকে নাড়িয়ে দেয় চোখ মুখের হাসির উল্লাসে,
পাখিরাও অনবরত ঠোঁটের ডগায় গান গায় আনন্দে।