বেহাগ রাগে
রূপালী মুখার্জি
একটা নিস্পাপ ভোর আর তার গায়ে খানিক বাৎসল্য রোদ
পাট পাট চুল আঁচড়ে নদী তখন অপেক্ষায়
নৌকো সুর তুলে মিলিয়ে যায় গাংচিলের বন্দরে
সে আসবে বলে,
বুড়ো শিবতলার মন্দির ঘন্টা বাজায় পূজারির সূর্যশ্লোকে
অনেক দিন পর নতুন জামা কাপড় পরে ইস্কুল সেজে উঠে
স্বপ্নরা পায়ে পায়ে কৃষ্ণচূড়া র ছায়াতলে,
প্লাস্টিকে মোড়া বইপত্তর নিয়ে কোলাহল হেঁটে চলে আকাশি রোদ গায়ে মেখে,
শহর আজ রিক্সায় চেপে মুঠো মুঠো আলোর গল্প নিয়ে,
রোয়াক আড্ডায় মাতে চায়ের খুরিতে, দু একটা কবিতা হাঁটু মুড়ে চিঠি লেখে ঠিকানা না জেনেই,
লজেন্স ফেরি করা ছেলেটা আজ বৃষ্টি এলে আপাদমস্তক মেখে নেবে বলেছে,
ভিড়ে ঠাসা বনগাঁ লোকাল আজ কথার রান্নাঘর, কত রকমের সুবাস
তারই মাঝে বাউলের একতারা
কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়,
দুই ভুরুর মাঝে টিপ পরে বনলতা আজ বকুল তলে
আজ কি আসবে উস্কোখুস্কো চুল, মোটা ফ্রেমের চশমা
অনেক দিন পর ভালবাসা নিবিড় হয়ে অপেক্ষায়।