পাঠমগ্ন-ঋষি
রওশন রুবী
আমাদের দেখা হওয়ার দরকার ছিল
আমাকে আপনার কড়ে আঙুল থেকে
খুলে নিতে হতো রেণুর মতন দুঃখবোধ
পারিনি বলেই সীমাহীন আর্তনাদ ভেতরে ভেতরে
বুদবুদ তুলে নদী তারপর বঙ্গোপসাগর সিন্ধু হয়ে সমুদ্র
যেতে যেতে শেকড় বাকল পত্রপল্লবে-
লিখেছে যা সেই ইতিহাস দূর্বাও জানে
উপত্যকা খুঁটে খুঁজেছি বন্ধুর মাটির দেহ – পাইনি,
জোছনা ভেজা রাত নিভে গেলে যে মদির আলো
তাতে খুঁজেছি এক ভক্তের উড়াল কথন – পাইনি
তাঁতালো রোদের চাতালে তন্নতন্ন করে খুঁজেছি – পাইনি
অথচ আপনি নাকি পাঠমগ্ন-ঋষি
কোনদিন দেখাই হলো না
তীর্যক আলোর বন্যার মতন নির্মলতাকে
আমি হিন্দু বৌদ্ধ জৈন খ্রিস্টান কী মুসলিম জানি না
মানুষের অবয়বে মানুষের গহীন ডাক শুনতে
বাকলাদ্বীপ মহেঞ্জোদারো হরিকেন সমতট
আর সব সভ্যতা ছুঁয়েছি
এক পশলা মানবিক অনুভবে ভিজতে
পদ্ম ছুঁয়ে দেখেছি
কখনও কখনও চন্দন ছুঁয়ে দেখেছি
যা হারায় একেবারেই হারায়
সেই থেকে যা ফিরে সে শুধু ভ্রম
সে শুধু আপশোশ
যা আকাঙ্ক্ষা তা তুষের আগুন – জেনেছি