মৌ চক্রবর্তীর কবিতা

ইকিরমিকির ১

মৌ চক্রবর্তী

মেঘ নেয়ে এলো বালি-কার্নিশে

নতুন সকাল নতুন হলুদ গোলাপি গল্প বলা ফুল এমন

ডেকে বলে এ নতুনদিনে রেখারঙ থেকে
দুচোখ আলো নিমেষে তরুতট মেলে

মন ভরালি হীরে কুচি সমুদ্র   সাধ হাওয়ায় খেলে
মেঘলবীথি জুড়ে শুধুই মন কেমন


ইকিরমিকির ২

মৌ চক্রবর্তী

বেলা বলে কোথা যাও

বক সাদা পাখির ডানায়
উড়তে উড়তে ছিটকে পলক

উদাসী ভবঘুরে সঙ্গী যত এককাল থেমে থাকা নাও

খুঁজে খুঁজি ধানরঙ ভুবনবালার হৃদয়ান্তরে
কবে এক কবিতার মতন লিখতে চাওয়া না লেখায় রেখে যাওয়া একটি হলুদ পালক


ইকিরমিকির ৩

মৌ চক্রবর্তী

ধান ধান ধানে ভরে ধানঘর সারি

তারই একপাশে চড়াই শালিখ

তারই কোথাও ঘোলা সাদা অতিথি পাখি

তারই দিকে আছে চেয়ে ভুবনবালার স্বপ্নছেঁড়া শীত পেরোনো কুয়াশা রঙশাড়ি


ইকিরমিকির ৪

মৌ চক্রবর্তী

জড়িয়ে থাকা জরির রঙরুপোলি
মুখর আশপাশ
এক ঝুড়ি মাটি মাখিয়ে মেখলায়
কে সেই লাঠিবুড়ি ভুবনবালা
যে দেখে চাঁদ স্মিত হেসে
যে কুয়াশাবিস্মিত শেষপ্রহরের জনদ্বারকায়
যে শোনে অথৈ কলকাকলি

ইকিরমিকির ৫

মৌ চক্রবর্তী

ভুবনবালা আজ সোনালি রোদচাদরে সোনা বুড়ি

কয়েকশো আশি নব্বুই বা একশো ফুলের জন্মকাল

নাকি নক্ষত্রের মতন
পেরিয়েছ সময় অপার ইহকাল

আলোকপথ
শূন্যতর মেঘভাষা
ঠিকরে নেমে আসা আলোফুল
রাশি রাশি হাসিওলা সবুজ মিতালি কলি
ফোঁটা কিছু ঘাসে ঘাসে যেন মাতৃস্নেহ ছুঁয়ে
নতজানু অগুণিত হীরের জহুরি


ইকিরমিকির ৬

মৌ চক্রবর্তী

ফুরিয়েছে যত কথা বলা
মুখোমুখি

আরাম পোহাতে বসে দুজনা

ছাইগাদা ছেনে পেয়েছিলো
কোন শীতভোরে এক চতুষ্পদী

তারই সঙ্গে মৌন সংলাপে
ভুবনবালা কত যে সুখী