হামিদুল ইসলামের কবিতা

আগুন

হামিদুল ইসলাম

ক্লান্ত পায়ে তখনও দাঁড়িয়ে জীবন
কথাঘরে অকথার বদ্ধ উবাচ
স্বরবর্ণের দেশে আজও ভুখা মিছিল। গলছে ফুটপাত

কারা আসে
কারা যায়
খোঁজ রাখে না তোতা বোষ্টমী
কেবল তোতা হয়ে কন্ঠ মেলায় একতারার মায়ায়

আমরা ভুলতে থাকি সব কথা
একে একে পটে আসে রাজা ও রানী
শাসনের নামে চলে শোষণ
দুর্বৃত্তের বর্বর অত্যাচার
তখনো বুকের ভিতর জর্জরিত আঘাত চেনায় অশরীরী আগুন

আগুন পোড়ে রাজপথ
আগুন পোড়ে কথা
আগুন পোড়ে সম্পর্ক। পুড়ে যায় বুকের ভিতর নীল দরিয়া

এ আগুন মস্ত আগুন। এই আগুন ছড়ায় হৃদয়ের কবিতা


তুমি

হামিদুল ইসলাম


যদি চলে যাই
আসবো ফিরে তোমার কথা ও গানে
নির্জন বসতে গড়ে নেবো
স্বপ্নের পারাবত ঘর

তোমার খোঁপায় গুঁজে দেবো সূর্য
বসন্তের কৃষ্ণচূড়া রোদ
গালিচা পাতা প্রান্তরে তোমার বাসি ঠোঁটে চরে বেড়াবে
আমার কবিতার ঘ্রাণ

ইচ্ছেগুলো হয়ে উঠবে একটি তিরতিরে নদী
নীল জলে মাছদের শীৎকার
ছুঁয়ে যাবে তোমার আমার আবেগ। কবিতা উৎসব

পায়ে পায়ে নেমে আসবে বর্ষা
নেমে আসবে শীত
লেপের ভেতর ওম মেখে ঘুমিয়ে পড়বে পৃথিবী
জন্ম নেবে আমাদের ঈশ্বর

তোমার হাত ধরে পৌঁছে যাবো স্বর্গ। ঈশ্বরের বাগান