নীতা বিশ্বাসের কবিতা

কতখানি

নীতা বিশ্বাস

কতখানি কাছে এলে
লতা-গুল্ম হয়ে যায় মন!
যেন এক সুর তোলা অনন্ত বাঁধন…
পাতায় মুর্ছনা নিয়ে
সোহাগী চাঁদের সাথে জলসা বসাই
আসরের চমৎকৃত ধুলো দিয়ে
মনটি রাঙাই ভালোবেসে…

গানের কলির গায়ে
আতরগন্ধী কত স্নান লেগে থাকে
গান ফোটে কলি ফোটে লতাগুল্মের স্তরে স্তরে
রাগ ফোটে নম্র অনুরাগে
নিজস্ব নদীটির কলস্বিনী শাখায় শাখায়…

দুইজনে কতখানি কাছে এলে
এ পৃথিবী একটিমাত্র দেশ হয়ে যায়…

দীর্ঘ চলাচল

নীতা বিশ্বাস

বটের ঝুরির কাছে
দীর্ঘ অতীত শুনতে যাই
আমাকে সে বেঁধে রাখে
লম্বা প্রজন্মের আত্মীয়তায়
এত অযাচিত ছায়া
কে দিয়েছে, কেই বা দিতে পারে!
কত দীর্ঘ বাতাস ছুঁয়েছে তার
অগুনতি পাতার সংলাপ
শাখায় শাখায়
ফল ধরনের শত অহংকৃত গর্ভকাহিনী
বাস্তঘুঘু, বাস্তুসাপ প্যাঁচার সংসার
রেখে গেছে কাহিনী তাহার

পাতাদের ঝরোঝরো মর্মরে
কত গল্প পিষে গলে মিশে গেছে
সর্বংসহা মাটির শরীরে
খুন জখমের ঘৃণ্য ক্লিন্ন রাজনীতির
হাজার রহস্যঘেরা বঞ্চনাকথা
ডায়রির পাতায় পাতায় গুছিয়ে রেখেছে
বৃদ্ধ বটের গুঁড়িটি…