চুপকথা
ভবানী বিশ্বাস
সকাল হলে পাখির ডাকে
ঘুম ভাঙে আমাদের।
বাবা চলে যান জমিনে।
আমি উঠি,
বাড়ির যাবতীয় কাজ সেরে
দৌড় লাগাই ঘাম ঝরাতে।
আমাদের একসাথে ভাত খাওয়া হয় না।
একসাথে খেতে বসলে মা ধন্দে থাকেন।
মাছের বড় টুকরোটা বাবার পাতে দিলে
বাবা তাকায় মা’র দিকে।
মা বোঝেন,
তিনি মাছটা আমার থালায় দেন।
আমিও বাবার মতো তাকানোর চেষ্টা করি।
মা বলে— চুপ..
আমাদের একসাথে খেতে বসা হয় না। একসাথে বসে মনের কথা বলা হয় না।
আমরা জড়িয়ে ধরে বলতে পারি না,
‘ভালবাসি’।
আরশি
ভবানী বিশ্বাস
পীড়াযুক্ত জীবন বুকে বয়ে চলছি
এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত।
মেলার ভিড়ের মধ্যে পাপী মুখটা লুকিয়ে রাখি,
যাবতীয় আক্রোশ মুক্ত করি গভীর রাতে।
এ জীবনটার জন্য কখনো প্রবল ধিক্কার
কখনো প্রবল ভালোবাসা ব্যক্ত করি তাঁর কাছে।
হৃদয় প্রবল আগুন খুঁজে যাবতীয় দুঃখ পোড়াতে।
আমি আবার জনসমুদ্রে ডুব দিই।
নিজের গোপন চাপা কান্নার আওয়াজ শুনতে পাই তাদের হৃদয় থেকে।