কাঁপছে জবর
বলাই দে
স্রোতের তোড়ে ভাঙছে মাটি
বেনোজলের রমরমা,
দিশেহারা দিগম্বর
ভুলছে তাই দাঁড়ি কমা।
বকছে প্রলাপ অহরহ
বদ্যি কোথায় এমন ব্যামোর?
নিত্য নতুন টোটকা চলে
প্রয়োজন যে কড়া “কেমোর”।
সঞ্চয় টা সাধারণের
কষ্টে সৃষ্টে ঘাম ঝরানো,
বাজার গরম রাখতে হলে
তাদের বাঁচাও তাদের টানো।
আশংকার মেঘ আতঙ্কেরও
থাকবে গতি ঊর্ধ্বমুখী?
কালো ছায়া মুখের ভাঁজে
পতনটা যে দেয় রে উঁকি।
যতই চলুক মেরামতি
ফুটোটা যে অনেক বড়,
কারিগরকুল ভয়েই অবশ
কাঁপছে জবর থরো থরো।
ইলিশ বৃত্তান্ত
বলাই দে
মোন্দারবাবু মাছ কিনেছেন
রুপালি সেই মাছ,
নিজেই ছোলেন নিজেই কোটেন
রাঁধেন ঢিমে আঁচ।
কলতলিতে রেখে ‘রাজায়’
কাপড় বদল করে,
বটি হাতে ফিরে দেখেন
ইলিশ গেছে সরে।
ভাবেন তিনি ‘কোথায় গেলো’
এইখানেই তো রাখা,
ব্যাগের ভেতর শুয়েছিলেন
ব্যাগ যে নেহাত ফাঁকা!
নজর ঘোরান পাশের ছাদে
চোখ যে চড়কগাছ,
পাড়া বেড়ানো হুলো মশাই
রসিয়ে খাচ্ছেন মাছ!
এবংবিধ কাণ্ড দেখেই
মেজাজ হারান তিনি,
চেঁচিয়ে পাড়া মাথায় তোলেন
‘চিনিরে তোকে চিনি’!
শখটি কেন তোকে পোষার
স্বভাব নড়চড়ে,
পুষতে হলে পোষো বাপু
বেঁধেই আপন ঘরে।
হনহনিয়ে বাজার মুখি
চলেন সেজেগুজে,
আজকে ইলিশ চাই ই চাই
দ্বিপ্রহরের ভোজে!