দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ের কবিতা

দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ের কবিতা

ভেজা অক্ষরে লেখা

দেবাশিস মুখোপাধ্যায়

আমার ভোরগুলি ঘাস আর খরগোশ
দাঁতের ধার কমে আসছে সূর্যের
ছায়া কবে যে মেঘের নাম হলো
সবুজ সবুজ কথায় নরম মিশ খায়
মিশলেই তুমি বেশ ভালো সজল সুন্দরী
দূর কাটে এভাবেই আর ভাবে ভাবে আড়ি
চোখের ভিতর রাধার পূর্বরাগ আর
আমাকে পেয়েছে মিয়া কি মলহার
হারলেই জিত বলে কারা গায় কানে
শুধু শুনি কানাই কানাই
আর সব নায় ভেসে যায় জলের ডাকে
ফিরে এল চিঠি দিন ভেজা অক্ষরের


সম্পর্ক

দেবাশিস মুখোপাধ্যায়

গাছ হয়ে আছে দেহ তোমাকে ছায়া দেবে
আর তুমি কি অনায়াসে এড়িয়ে যাচ্ছ

কার কুঠার কখন খুনি গান গেয়ে ওঠে
রক্তের স্রোত ধুলোর উপন্যাস পড়ে
কান্না ছড়িয়ে দেয়

সমাস ভাঙলে কখন সে একলা পুরুষ
নরম পাহাড় যার বুকে সবুজ পাইন বন

তুমি তোমাকে তোমার মতো বাঁচতে শিখিয়েছ
সরল বাক্যগুলিও জটিল আড়াল যুক্ত হলে

সব উপেক্ষার উপকরণ কখন প্রিয় কবিতা
মানুষের থেকে দূর চাঁদের আশ্রয়ে


একখানা মেঘ

দেবাশিস মুখোপাধ্যায়

মেঘকে সিঁদুর পরার পর খুব ভালো
লাগছে। চোখ ফেরাতে পারছে না
আকাশ। বৃষ্টি পর্বের পর মেঘ ফিরে
যাবে। ফুলশয্যার পর কালো চুলের ঢল নামা মুখটা যেন হয়ে যাবে ডাকের সাজ আর ঘামতেল দেবার পর প্রতিমা।
কিন্তু আবাহনের পর বিসর্জনের জন্য
প্রস্তুত ছিল না কেউ। একলা মেঘকে সাজিয়ে কালো চুলের দেশে সবাই ঢেলে দিল সিঁদুর।