
এখন
দেবাশিস মুখোপাধ্যায়
মন্দিরে যেতে পারি না
অনেক দিন সবার সঙ্গে পাত পেড়ে বসে প্রসাদ খাইনি
কাঙালি ভোজনের ভিতর
বসে আছেন রামকৃষ্ণ
তিনি পরিষ্কার করছেন তাদের পাত
উচ্ছিষ্ট খেতে খেতে
বলছেন, ‘ব্রহ্ম সত্য জগৎ মিথ্যা ‘
মিথ্যা জগতের মোহে
আমি গান্ডেপিন্ডে গিলছি
চার দেয়ালের ভিতর
পাত না পাতা ঝরে যাচ্ছে শরীরের
ক্রমশ ব্রহ্ম গিলে নিচ্ছে আমাকেও
রূপান্তর
দেবাশিস মুখোপাধ্যায়
কারো মতো হওয়া হল না আমার
সারাদিন বৃষ্টির পর ডাঙা পুকুর
একটা ভাঙা বাড়ি এখন মাটি
যদিও মৃত্যুর পর জানা যায় না অনেক কিছুই
ভাবনা থেকে এসব বাদ দিলে শূন্য
থইথই থেকে কখন যে সুনামি আসে
নাম মুছে যায় জলে, হয়তো মানুষও
দুপুরের গল্প রাত্রির বিছানায় আলাদা রূপে এক অরূপকথা
আজ
দেবাশিস মুখোপাধ্যায়
মঙ্গলবার ঠিক মঙ্গলে নেই
জঙ্গলেও নেই
এই কংক্রিটের রাস্তায় খুব জল
জলের শরীরে আকাশের কালো মুখ
কখন মুখরা হবে নিশ্চিত নই
নইয়া পার কর বলে
যে ভবনদী পারাপারের কথা ভাবছে
তার সাথে আলাপ নেই
আলাপ শুনছি সেতারে মিয়া কি মল্লারের
মল্লযুদ্ধের প্রস্তুতি চলছে নিজের ভেতর
সব ঘেঁটে যাবার পর দেখছি
দু’হাতে কালের মন্দিরা বাজাচ্ছে কেউ
বাজনার ভিতর নীরবতাও বাজছে
ছুঁতে গিয়েও ছুঁতে পারছি না