সম্মেলনায় নমঃ
ডঃ সুরেশ কুমার মিশ্র
কথিত আছে ‘अकेला चना भाड़ नहीं फोड़ सकता’ (যার মানে একক প্রচেষ্টায় কিছু করা সম্ভভ না) । যখন একটি দল নিজেকে কিছু করার কথা ভাবে কথা, তখন সেই দলটিকে একটি সম্মেলনের নাম দেওয়া হয়। হ্যাঁ সম্মেলন! ভিড়ের মধ্যে সাপ মরে না এবং সম্মেলনে সমস্যার সমাধান হয় না। সাপ মরলে লাঠিচার্জের সমাধান হবে এবং এসব সম্মেলনের কোনো যৌক্তিকতা থাকবে না। একটি স্টিং এর জন্য এবং অন্যটি সময় এবং অর্থ ব্যয়ের জন্য থাকা প্রয়োজন। সেজন্য পৃথিবীতে এত মানুষ ও বুদ্ধিজীবী থাকা সত্ত্বেও উভয়ের অস্তিত্ব একই এবং অটুট রয়েছে।
বাস্তবে, একটি সম্মেলন হল এমন একদল লোক যারা একা কিছু করতে পারে না, কিন্তু যখন তারা একটি দল গঠন করে তখন তারা নিজেকে তিসমার খান বলে দাবি করে। এখানে, কিছু অর্জনের চেয়ে বেশি সময় এবং অর্থ ব্যয় করার জন্য ভাল অজুহাত পাওয়া যায়। তাদের অবিরাম চলাফেরা এমন লোকদের একত্রিত করে যারা বিস্কুটের মতো নরম এবং চায়ের মতো গরম, যারা এই ধরনের প্রসঙ্গে একে অপরের পরিপূরক। যদি দেখা যায়, আমাদের সম্মেলনগুলোতে সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। এখানে মেধার চেয়ে সংবিধানকে বেশি সম্মান করা হয় এবং যারা তাদের ইচ্ছামতো ব্যবহার করে তাদের সংবিধানের চেয়ে বেশি সম্মান করা হয়। এই কারণেই এখানে সম্মেলনের লেজ হনুমানজির লেজের চেয়ে লম্বা হয়।
একটি সম্মেলনের সম্ভাব্যতা কেবল শোনা এবং দেখার চেয়ে আরও বেশি কিছু করা। যেমন আমাদের দেশ পিছিয়ে আছে বললে দেশপ্রেমিকরা রেগে যাবে। এটা সম্ভব যে বিনিময়ে কেউ আমাদের পাকিস্তানে যেতেও বলতে পারে। সেজন্য এসব সম্মেলনের কারণে আমরা মধ্যপন্থা অবলম্বন করেছি। দেশকে উন্নয়নের মতো সুন্দর নাম দিয়ে বাইরে থেকে শেরওয়ানির মতো ভাবমূর্তি তৈরি করেছেন এবং ভেতর থেকে সমস্যায় পড়েছেন। এতে করে কানে আরাম পাওয়া যায় এবং মুখে একটা কৃত্রিম হাসি থাকে।
অনেক ধরনের সম্মেলন আছে। তাদের মধ্যে এক ধরনের সম্মেলন হচ্ছে- ‘ইস্যুটি কীভাবে ডাইভার্ট করা যায়?’ এটা আজ পুরো দমে আছে. যেমন, বিরোধী দল যখন অমুক-অমুকের ক্রয়-বিক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করে, তখন জনগণের দৃষ্টি ফেরাতে সরকার অমুক-অমুকের ওপর গুলি চালায়। পেট্রোল-ডিজেলের দাম নিয়ে বেশি বিতর্ক এড়াতে টমেটো-পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হল। প্রকৃত অর্থে, কনফারেন্সে ‘ক’-এর পরিবর্তে ‘খ’ এবং ‘বি’-এর পরিবর্তে ‘ক’ উচ্চারণের কৌশল পাওয়া যায়। বিশ্বাস না হলে আমাদের আপার হাউসগুলো দেখুন। স্বাধীনতার পর থেকে তারা একই কাজ করে আসছে। কারণ দারিদ্র গতকালও ছিল, আজও আছে এবং আগামীকালও থাকবে। দুর্নীতি গতকালও ছিল, আজ আছে এবং আগামীকালও থাকবে। ক্ষুধা গতকালও ছিল, আজও আছে এবং আগামীকালও থাকবে। সেজন্য সম্মেলন গতকাল ছিল, আজ আছে এবং আগামীকালও থাকবে। সত্যি কথা বলতে কি, এই দেশটা আমাদের নয়, কনভেনশনের তৈরি।
(Feed Source: prabhasakshi.com)