
ষষ্ঠী
প্রসেনজিৎ রায়
ষষ্ঠীর ভোরে মৃদু হাওয়ায়,
সোনার কাশফুল দোলে,
শরতের নীল সরিয়ে মেঘ
ঝরে ইলশেগুঁড়ি চালে।
বনবাদাড়ে যত পশুপাখি,
মাতোয়ারা আপন খেলায়,
দূরের গাঙে করিম মাঝি..
সুর ছেড়েছে ভেলায়।
প্রজাপতি সব উড়ে চলে,
নব্য প্রেমিকের খোঁজে,
বহুরাত জেগে কুমোরটুলি,
ঘুমের মর্ম বোঝে।
পাড়ার ইস্কুল বড্ড একা,
ঝুলছে ভারী তালা
বৃষ্টি পূজো পণ্ড করলে,
আড্ডাখোরের ভীষণ জ্বালা।
হাবলুর বাবা ফিরছে বাড়ি,
দূরের শহর থেকে
বাবা এলেই বায়না ধরবে,
হাবলু লিস্টি লেখে।
হাবলু পূজোয় খেলনা নেবে,
যদি পোষায় দরদামে,
আকাশ দেখে মন খারাপ
বৃষ্টি কখন থামে !

জঙ্গলে পুজোর গন্ধ
প্রসেনজিৎ রায়
পুজোয় এবার কিনতে হবে তিনটে চারটে জামা,
কেঁদেকেটে বায়না ধরেছে হাবুলের বাঘ মামা,
বাঘিনী মামি আরো ব্যস্ত গয়না গড়াবে বলে,
সিংহী দিদার বায়নার বাহারে গা-টা শুধু জ্বলে।
শিয়াল ভাবছে কামাবে ভালো জঙ্গলের পুজো করে,
জুটবে সাথে পুজোর চাল-ডাল নেবে থলি ভরে,
বাবুই পাখির দায়িত্ব অনেক প্যান্ডেল বানাবে বলে,
খরগোশ ভাই সাজাবে মূর্তি হাজার রঙিন ফুলে।
হাতি জ্যেঠু ভীষণ কুঁড়ে গা হেলিয়ে বসে,
গরু দাদা ভীষণ রোদে চাষির জমি চষে,
সিংহ দাদু বেজায় খুশি পূজো-সভাপতি বলে,
গন্ডার দা জঙ্গলে নেই শহরের শপিংমলে।
গাধা বন্ধু গান ধরেছে সারা জগত ভুলিয়ে,
জলহস্তী চলে ভারিক্কি চালে বিশাল কোমর দুলিয়ে,
হাবুলও যাবে পূজো এলেই নতুন রাজার বেশে,
ভেবেই হাবুল হেসে লুটোপুটি তারই স্বপ্নের দেশে।

মহামিলন
প্রসেনজিৎ রায়
সব শিশুরা আয়রে ছুটে,
সপ্তসুরের দেশে
সাজবে সবে যেমন খুশি,
নানান ছদ্মবেশে।
পূজোর আসরে সাজলো হাট,
বাজলো মাদল সুর
নতুন আশায় বুক বেঁধেছে,
বাংলা গাঁয়ের ভোর।