প্রসেনজিৎ রায়ের কবিতা

প্রসেনজিৎ রায়ের কবিতা

জীবনের এপারে

প্রসেনজিৎ রায়

তুমি দুচোখে বিশ্বাস এঁকে দিলে আমি কাকভোরে স্বপ্ন দেখি,
অলীক বাস্তবের ছিটেফোঁটা পড়ে থাকে বিস্তৃত গেঁয়োবাড়ির উঠোন জুড়ে,
বাস্তব তার ক্যানভাস জুড়ে কিছু ক্ষুধার্ত মানুষের অসহায় মুখ আঁকে,
অসহায়ত্ব বেকার যুবকের স্বপ্নভঙ্গের নীরব কান্নার অশ্রুজল মাপে,
সীমানায় কর্তব্যরত সেনার সংসারত্যাগের কষ্টের গাঁথা লেখে অভিজ্ঞতা…
প্রতিবন্ধীর না ছুঁতে পারা মেঘলা আকাশের দিকে চেয়ে অঝোরে কাঁদে বাস্তব,
অতলে হঠাৎ তলিয়ে যায় সব প্রেম-স্বপ্ন ,
বেঁচে থাকার তাগিদে ভীষণ খিদে পায় আমারও মাঝরাতে,
তুমি ভাতের ফেন ঝেড়ে প্রেমিকা থেকে হয়ে উঠো সংসারী,
তোমার শরীরী গন্ধে আমার খিদে পেলে তুমি হয়ে উঠো নিছক শরীর।
দিনের সব ক্লান্তি এক লহমায় ঝেড়ে ফেলতে চাই তোমার অনিচ্ছার অধরে,
বুঝতে চাই না তোমারও শরীর নয় প্রেমিকা হবার ইচ্ছে করে।
যখন শিকার শেষে বোধ ফেরে তুমি তখন নেতিয়ে থাকো …
তখন পুরুষ ভাবতে নিজেকে ক্ষণিকের জন্য ঘৃণা হলেও আমার কিচ্ছু যায় আসে না পরক্ষণেই।
এভাবে ফুরিয়ে যায় সব আয়ু তোমার আমার প্রেম-ক্ষুধা আর বাসনার কালচক্রে,
আবার তৈর্রি হই মনের ঈশানে ইচ্ছে জমিয়ে পরজন্মে ফিরে আসার জন্যে…