ঐশীক্রম
রুমা ঢ্যাং অধিকারী
হলুদ ভাটিখানা উলটে ভোরের পাখি
শুরু করেছে ওড়া
কখনো ছোট ছোট হাত তুলে নিয়েছে শাড়ি
কখনো দরিয়ার খোঁজে একটু আবেগ জারি
এখানে পয়গম্বর রোদ
পুরনো মেঘবাসরের পর্দা হটিয়ে আয়োজন করে ময়ূর অর্চনা
অসীমের বন্দনায় জনপদ
ছেড়ে যায় শঙ্খধ্বনি
কিন্তু জীবনের সন্ধানে যে গাঁদাটি অর্পিত হলো সূচ ও সুতোয়
মান্দাসে বসে শুঁকলেও বিশুদ্ধতার বাতি কি বদলাবে?
অভিমুখ রেখে এখন সেঁকো মাটির প্রদীপদানি
আর ঘট পূর্ণ জলে ধরে রাখা
তার সহাস্য ছায়াছবি
ঘড়ির ছত্রছায়ায়
রুমা ঢ্যাং অধিকারী
দিনের পাড়ে যতই চলুক ক্রিং ক্রিং সাইকেল
রিচার্জিকাল মেসেজের আত্মীয়তা হন্যে হয়ে খুঁজে চলে গ্রাহক
আমি তো কোন ছাড়—
ছাড়ের অস্তগিরি মজুত রেখে ঠোঁট যেখানে যন্ত্রসঙ্গীত
সেখানে সকালের পরিচয় বয়ে নিয়ে গান ধরবে ককটেল
তোমাকে শুধু চিনে নিতে হবে মহুয়াফল
আর এক যাত্রায় বস্তাপচা সন্তরণ
ভুলে চিড়িয়াখানায়
সাক্ষাৎকার লেখো এখন খড়কুটোর
জানো, জনসমীক্ষার খাতায় আমার কোনো নাম নেই
অথবা ভিড়, ভিড়কেই ঠেলে
তৈরি করে পদ্মলোচনা
কোথাও কুঞ্জ কুঞ্জ ডাক আসে
ঘড়ির ছত্রছায়ায়