লড়াই
হামিদুল ইসলাম
প্লাবনী নদী একাকী বয়ে চলে ইচ্ছেমতো
কোথায় সীমানা
কোথায় মোহনা
জলে ভাসে লাশ। বিষণ্ণ ঢেউ।
লাশফুলে মালা গাঁথি
রক্তাক্ত রাজপথ
ভুখা পেটে গামছা বাঁধা
কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধ সারা জীবন।
জীবন মানে যুদ্ধ
যুদ্ধ মানে হার জিৎ, যুদ্ধ মানেই জীবন।
এই আছি
এই নেই
তবু আছি। মৃত্যুর সাথে লড়াই করে আমরা বেঁচে আছি।
অধ্যায়
হামিদুল ইসলাম
রাস্তার দুপাশে পুঁতি বীজ
বীজ থেকে চারা
চারা থেকে মহিরুহ। প্রত্যাশা ছড়ায়।
বিবর্ণ পাঠশালা
স্বরবর্ণের দেশে জন্ম নেয় আগামী প্রজন্ম
রক্তবীজ। রক্তজীবন।
ইস্তেহারের সব প্রতিশ্রুতি ধুয়ে যায়
ভেঙে যায় হৃদয়
ইতিহাস পালটায়। বাদ পড়ে আরও ক’টা অধ্যায়।
বৃক্ষদিন
হামিদুল ইসলাম
সূর্য তখন মাথার উপর
রাস্তার দুপাশে পাথর ভাঙছে হাজার হাত
কচি কচি মুখ
রোদে পুড়ে কদাকার।
বসন্তের সুবাস মেখে ফিরে আসে কোকিল
রঙ ধরে নতুন পাতায়
তবু হাজার হাত বন্দি কয়লা খাদানে
বন্দি পাথর ক্র্যাসিংয়ে
বন্দি হাজার চোখ ঈশ্বরের স্বপ্ন বাগিচায়।
তবু ফিরে আসে কারা
তবু কারা ফিরে আসে না
প্রতিদিন খাদানে খাদানে জীবন নিরুদ্দেশ।
ভাঙা নৌকোয় কারা রাখে পা
তাদের বুকে নয়া স্বপ্ন
বৃক্ষদিন
তারা প্রতিদিন সংগ্রাম করে মৃত্যুকে ছুঁয়ে।