ককরোচ
সমিত রায় চৌধুরী
“তোর দ্বারা পড়াশুনা আর হবে না। বড় হয়ে ভিক্ষা করে খেতে হবে তোর” এই ভাবে ভাস্বতী তার মেয়ে কেয়া’কে প্রচন্ড বকছে।
দ্বিতীয় স্ট্যান্ডার্ড এ পড়া মেয়ে কেয়া স্কুলের পোশাকেই মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। আর একটু হলেই তার দুই চোখ দিয়ে গঙ্গা যমুনা ধেয়ে আসবে।
ভাস্বতী থামার নামই নিচ্ছে না। বকেই চলছে। শুধু আধুনিক মা-বাবা’র প্রিন্সপাল মেনে গায়ে হাত দিচ্ছে না।
প্যারেন্টস-টিচার্স মিটিং সেরে বাড়ি ফিরেছে মাত্র তারা। “ককরোচ বানানটা কত বার তোকে শিখিয়ে দিলাম। কেনো তুই সেই A টা এইবারও দিলি না। এইটা ঠিক হলেতো ইংরেজিতে টোয়েন্টি আউট অফ টোয়েন্টি পেতে পারতি। সুদক্ষিণা’র মা তো আজ সন্ধ্যায় টিপ্পনি কেটে কত কথা বলবে।” ভাস্বতী বকাবকি করেই চলছে।
বিবেক ঘরে ঢুকে অবস্থা সামলানোর জন্য বলল-“মা তুমি এমনটা করলে কেন? আগামীতে আর এমন ভুল করবে না।”
কেয়া মাথা নিচু করে আস্তে আস্তে বলল- “ককরোচ একটা বাজে প্রাণী। ওকে এক্সাম এর খাতায় আমি কখনোই A দেব না।”