
অপূর্ব হিল স্টেশান ইয়েলগিরি
সদানন্দ সিংহ
ইয়েলগিরি তামিলনাড়ু রাজ্যের একটি ছোট্ট পার্বত্য সাইট, যার প্রাকৃতিক দৃশ্য, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং অপরূপ পর্যটন গন্তব্যগুলির জন্য পরিচিত। এটি তামিলনাড়ুর অন্যতম প্রখ্যাত হিল স্টেশন বা শৈল শহর। এটি তিরুপাট্টুর জেলায় অবস্থিত। এটি চেন্নাই এবং বেঙ্গালুরু থেকে সহজে পৌঁছানো যায় এমন একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। এখানকার মনোরম দৃশ্য, সবুজ পর্বতমালা, ট্রেকিং রুট, সুন্দর লেক এবং জলপ্রপাত পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এই জায়গাটি বিশেষত পর্যটকদের জন্য আদর্শ যারা নগর আন্দোলন থেকে দূরে শান্ত জায়গা খুঁজছেন।
এখানে কী কী দেখার আছে
১) ইয়ালাগিরি লেক বা পুঙ্গানুর লেক
এটি একটি কৃত্রিম হ্রদ এবং ইয়েলগিরির অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। “ইয়ালাগিরি লেক” বলতে মূলত পুঙ্গানুর লেক (Punganoor Lake)-কেই বোঝায়। ইয়েলগিরির অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হ’ল ইয়েলগিরি হ্রদ, যেখানে পর্যটকরা নৌকাভ্রমণ উপভোগ করতে পারেন। সবুজ উদ্যান এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এই হ্রদের চারপাশে ছড়িয়ে আছে, যা পর্যটকদের কাছে স্বাচ্ছন্দ্য এবং শান্তিবোধ এনে দেয়। বাচ্চাদের খেলার জন্য পার্কও রয়েছে, যা এটি পরিবারের জন্য একটি আদর্শ সাইট। ইয়েলাগিরি পাহাড় দিয়ে ঘেরা, পুঙ্গানুর হ্রদ তার মনোরম সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। হ্রদের মাঝখানে একটি ঝর্না আছে। আপনি প্যাডেল এবং মোটর নৌকায় ভ্রমণ করতে পারেন, গাছের চূড়ায় ভিউ পয়েন্টে যেতে পারেন, আপনার বাচ্চাদের সাথে শিশু পার্কে খেলতে পারেন, অথবা হ্রদের ধারে হেঁটে যেতে পারেন। প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা এবং নৌকা ভ্রমণের জন্য জনপ্রতি ৫০ টাকা। এখানে একটি ছোট ক্যান্টিন আছে যেখানে আপনি চা পান করতে পারেন এবং স্থানীয় খাবার উপভোগ করতে পারেন।

২) স্বামীমালাই পাহাড়
এটি ইয়েলগিরির সর্বোচ্চ শিখর এবং ট্রেকারদের জন্য একটি আদর্শ জায়গা। চূড়া থেকে আশেপাশের উপত্যকার মনোরম দৃশ্য দেখা যায়। বেশিরভাগ পর্যটকই পুঙ্গনুর হ্রদ থেকে ৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এসে পুরো ইয়েলাগিরি শহরের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করেন। আপনি ছোট ছোট পাহাড়ে পৌঁছানোর জন্য ছোট ছোট ট্রেকিং করতে পারেন, অথবা দীর্ঘ ট্রেকিং করতে পারেন যেখানে পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছানোর জন্য মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখা যায়। বর্ষাকালে ট্রেকিং করা ঠিক নয়।

৩) জলগামপারাই জলপ্রপাত
ইয়েলাগিরির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত সুন্দর আত্তারু নদী, পাহাড়ি পাথর থেকে শ্বাসরুদ্ধকর জলপ্রপাতের সৃষ্টি করে জালাগামপারাই জলপ্রপাতের জন্ম দেয়। নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে যদি আপনি জালাগামপারাই জলপ্রপাত পরিদর্শন করেন, তাহলে আপনি জলপ্রপাতের সৌন্দর্য পূর্ণভাবে প্রত্যক্ষ করতে পারবেন। জলপ্রপাতগুলিতে পৌঁছানোর জন্য প্রায় ৫ কিলোমিটার হেঁটে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন। এই জলপ্রপাতটি প্রকৃতি প্রেমীদের এবং ফটোগ্রাফির উৎসাহীদের জন্য একটি আদর্শ সাইট। এখানে পৌঁছানোর জন্য কিছু ট্র্যাকিংও করতে হয় বলে এই জায়গাটিকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলেছে। এটি ইয়েলগিরি হিল স্টেশন থেকে প্রায় ৩৫ কিমি দূরে অবস্থিত, যা ভেলোর জেলার অন্তর্ভুক্ত।

৪) জলগণ্ডীশ্বর মন্দির
ভেলোর দুর্গের ঠিক কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত মনোমুগ্ধকর জলগণ্ডীশ্বর মন্দির। গভীর পৌরাণিক তাৎপর্যের জন্য পরিচিত, এই সুন্দর মন্দিরটি ভগবান শিব এবং দেবী পার্বতীর উদ্দেশ্যে নিবেদিত। এই মন্দিরে বিশাল পাথরের উপর খোদাই করা সুন্দর ভাস্কর্য সহ চমৎকার স্থাপত্য রয়েছে। আপনি দীর্ঘ খোলা করিডোর এবং বিশেষ মণ্ডপগুলিও দেখতে পাবেন, যেখানে বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। মন্দিরটি সকাল ৬:৩০ থেকে রাত ৮:৩০ পর্যন্ত খোলা থাকে তবে বিকেল ১:০০ থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে। যদি আপনি ভিড় এড়াতে চান, তাহলে সকাল ৭:০০ টার মধ্যে সেখানে পৌঁছানোর চেষ্টা করুন। ছবি তোলার ক্ষেত্রে কিছু নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

৫) নেচার পার্ক
পুঙ্গানুর হ্রদের কাছে অবস্থিত এই পার্কটি ১২ একর জমি জুড়ে বিস্তৃত এবং এতে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। এখানে একটি মিউজিকাল ফোয়ারা (musical fountain), মাছের অ্যাকোয়ারিয়াম এবং শিশুদের খেলার জায়গা রয়েছে, যা পরিবারের সাথে সময় কাটানোর জন্য উপযুক্ত। প্রকৃতি উদ্যান হল মুক্ত হওয়া এবং ঘুরে বেড়ানোর জন্য উপযুক্ত জায়গা। বাচ্চাদের পার্কে খেলার জন্য ক্রীড়া আইটেম এবং অন্যান্য সুবিধাগুলিও উপলব্ধ বলে শিশুদের জন্য এটি উপযুক্ত জায়গা। মিউজিক্যাল ফাউন্টেন শো প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭ টায় শুরু হয়। মিউজিক্যাল ফাউন্টেন শোয়ের জন্য প্রতি ব্যক্তির জন্য ২৫ টাকা চার্জ। এখানে আপনি পরিবারের সাথে একটি পিকনিক উপভোগ করতে পারেন।
৬) ভেলাভান মন্দির (Velavan Temple)
এটি মুরুগান মন্দির নামেও পরিচিত এবং একটি ছোট পাহাড়ের উপরে অবস্থিত। এখান থেকে সবুজ পাহাড়ের দৃশ্য দেখা যায় এবং এর স্থাপত্যও বেশ আকর্ষণীয়।
৭) ফান্ডেরা পার্ক (Fundera Park)
এটি একটি পাখির পার্ক যেখানে ৫০০-র বেশি বিদেশি পাখি এবং প্রাণী রয়েছে। পরিবার এবং বিশেষ করে শিশুদের জন্য এটি একটি মজার জায়গা।
এছাড়াও, এখানে সরকারি ভেষজ খামার (Government Herbal Farm), টেলিস্কোপ মানমন্দির (Telescope Observatory) এবং বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চার স্পট রয়েছে যেখানে প্যারাগ্লাইডিং, রক ক্লাইম্বিং-এর মতো ইত্যাদি কার্যক্রম করা যায়।
এছাড়া বিভিন্ন নিম্নলিখিত অ্যাাকটিভিটি করা যায়
১) জঙ্গল সাফারি (জঙ্গল সাফারি)
আপনি যদি বন এবং বন্যজীবনের প্রেমিক হন তবে আপনি ইয়েলগিরির আশেপাশের বনে সাফারিও করতে পারেন। বিভিন্ন ধরণের পাখি এবং প্রাণী প্রজাতি এখানে ঘন বনে পাওয়া যায়।
২) সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দৃশ্য সঙ্গে ফার্ম ট্যুর
ইয়েলগিরির পাহাড় থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্যটি খুব মনোরম। এখানকার পার্বত্য অঞ্চলে সূর্যের সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্যগুলি পর্যটকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে। আপনি যদি প্রকৃতি প্রেমিক হন তবে এই দৃশ্যটি আপনার জন্য স্মরণীয় হবে। সময়মত আপনি সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখার জন্যে ইয়েলগিরি পাহাড়ের পিক পয়েন্টে পৌঁছে যান। মাঝখানে ফার্ম ট্যুর সেরে আসুন। ইয়েলাগিরিতে এমন খামার আছে যা ইয়েলাগিরিকে পাহাড়ি শহর হিসেবে গড়ে তোলার পেছনে কী ভূমিকা রাখে তা প্রমাণ করে, যেখানে উৎপাদিত ফসল, মশলা, ফুল এবং ক্ষেত থেকে উৎপাদিত কৃষিজাত দ্রব্য রয়েছে। আপনি সিল্ক ফার্মে যেতে পারেন এবং রেশম চাষের সাথে সাথে তুঁত বাগান ঘুরে দেখতে পারেন এবং রেশম পোকা এবং রেশমচাষ সম্পর্কে জানতে পারেন এবং রেশম প্রক্রিয়াজাতকরণ কীভাবে করা হয় তাও জানতে পারেন।
৩) রক ক্লাইম্বিং
এটা করতে গেলে আপনার অবশ্যই রক ক্লাইম্বিংয়ের অভিজ্ঞতা থাকা দরকার! অভিজ্ঞতা না থাকলে আপনি এখানে এসে রক ক্লাইম্বিং শিখতে পারেন এনং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন। এখানে রক ক্লাইম্বিং-এর জন্যে বেশ কিছু বিভিন্ন ধরনের অ্যাক্সেস পয়েন্ট রয়েছে। করার সেরা সময় হচ্ছে নভেম্বর – ফেব্রুয়ারি।

৪) জোরবিং (Zorbing)
আপনি কি কখনও কল্পনা করেছ্ন যে আপনি যখন একটা বলের ভেতরে একটা সূক্ষ্ম ঢালু পথ ধরে ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবীকে উল্টে যেতে দেখ্তে থাকবেন, তখন আপনার কেমন লাগবে? ইয়েলাগিরিতে জোর্বিং আপনাকে সেটা অনুভব করার সুযোগ দেবে। জলেও জর্বিং করা যায় ঢেউয়ের সাথে গড়াতে গড়াতে। সত্যিই সন্দেহ নেই এতে বেশ মজা হবে। জোর্বিং সময়কাল: ২০ – ৩০ মিনিট এবং তার জন্যে কমপক্ষে ২০০ টাকার মত লাগে জনপ্রতি।

৫) জিপলাইন (Zipline)
দড়ি বেয়ে পাহাড় চূড়া থেকে নিচে নামার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে গেলে আপনাকে জিপলাইন অ্যাকটিভিটি করতেই হবে। পাহাড় চূড়া থেকে নামার সময় হঠাৎ গতির তীব্রতা যেভাবে বেড়ে যায় তা ভাষায় ব্যাখ্যা করা সম্ভব যদি আপনি এটা করেন। এছাড়াও, পাহাড়ের দড়ি বেয়ে নেমে যাওয়ার সময় সমৃদ্ধ উপত্যকার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য আপনাকে আরও মনোমুগ্ধকর করে তুলবে! এটা করার সেরা সময়: নভেম্বর – ফেব্রুয়ারি। সময় লাগে ১ – ২ ঘন্টা। তার জন্য কমপক্ষে খরচ ৭০০ টাকা জনপ্রতি।
৬) ক্যাম্পিং (Camping)
যদি শহরের কোলাহল থেকে দূরে প্রকৃতির শব্দে নিজেকে ডুবিয়ে দিতে চান, এবং অ্যালার্মের পরিবর্তে পাখির কিচিরমিচির শুনে ঘুম থেকে উঠতে চান তবে তাঁবুতে ক্যাম্পিং করতেই হবে। এই ক্যাম্পিং অভিজ্ঞতা আপনাকে প্রকৃতির এক নিখুঁত অবকাশ উপভোগ করার সুযোগ দেয়। এই তাঁবুতে কাটানোর আনন্দযাত্রা করার সময় মনোমুগ্ধকর জলপ্রপাত, হ্রদ, জুলজিক্যাল পার্ক এবং জাভাধু পাহাড় ঘুরে দেখুন; আপনার পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে ক্যাম্পিং-এর স্মৃতি অমর হয়ে থাকবে। ক্যাম্পিং-এর সময়কাল: ২ দিন ১ রাত। খরচ ৬৯৯ – ১৮৭০ টাকা বা বাড়তেও পারে।
৭) ট্রেকিং
ইয়েলাগিরির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ট্রেকিং হল স্বামীমালাই পাহাড়ি ট্রেকিং। এটি আপনাকে পাহাড়ের চূড়া থেকে উপত্যকার এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখাবে। স্বামীমালাই ট্রেকিং মঙ্গলম গ্রাম থেকে শুরু হয়ে ৩ কিমি উঁচুতে উঠতে হয়। পালামথি এবং জাভাদি পাহাড় ধরে ট্রেকিং করে জলগাম্পরাই জলপ্রপাত পর্যন্তও যাওয়া যায়। ট্রেকিং-এর জন্য কোনো খরচ নেই, নিজে থেকেই আয়োজন করতে হয়।

৮) প্যারাগ্লাইডিং
উড়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাইলে প্যারাগ্লাডিং করুন। আর যখন ইয়েলাগিরিতে প্যারাগ্লাইডিং করার কথা আসে, তখন এটি আরও বেশি রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে। এই অসাধারণ পাহাড়ি স্টেশনের বনের দৃশ্য আপনার প্যারাগ্লাইডিং সেশনগুলিকে আরও অবিস্মরণীয় করে তুলবে। চারটি পাহাড়ের মাঝখানে অবস্থিত, ইয়েলাগিরি আকাশে প্যারাগ্লাডিং উপভোগ করার জন্য এখানে এক সুন্দর জায়গা আছে।
কী করে ইয়েলগিরি যাবেন
চেন্নাই এবং বেঙ্গালুরু উভয় শহর থেকেই সড়কপথ এবং রেলপথের মাধ্যমে ইয়েলগিরি সহজেই পৌঁছানো যায়। ইয়েলগিরির নিকটতম প্রধান রেলওয়ে স্টেশন হলো জোলারপেট্টাই জংশন (JTJ), যা হিল স্টেশন থেকে প্রায় ২০-২৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। চেন্নাই থেকে ইয়েলগিরির দূরত্ব প্রায় ২৩০ কিলোমিটার এবং পৌঁছাতে সাধারণত ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা সময় লাগে। সড়কপথে এটি ভ্রমণের সবচেয়ে সুবিধাজনক উপায়। রাস্তাঘাট খুব ভালো এবং মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যায়। আপনি নিজে গাড়ি চালিয়ে বা অন্য কোনো পরিসেবা থেকে ট্যাক্সি ভাড়া করে যেতে পারেন। রুটটি সাধারণত NH48 ধরে ভেলোর, ভানিয়াম্বাদি হয়ে যায়। ইয়েলগিরি পাহাড়ে ওঠার জন্য ১৪টি হেয়ারপিন বেন্ড বা বাঁক পার হতে হয়। চেন্নাই মফুসিল বাস টার্মিনাস (CMBT) থেকে ইয়েলগিরির উদ্দেশ্যে সরাসরি সরকারি বা বেসরকারি বাস পাওয়া যায়। রেলপথে চেন্নাই সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে জোলারপেট্টাই জংশন (JTJ) পর্যন্ত অনেক ট্রেন চলাচল করে, যেমন ইয়েলাগিৰি এক্সপ্রেস (Yelagiri Express)। জোলারপেট্টাই পৌঁছে স্টেশন থেকে ট্যাক্সি বা স্থানীয় বাসে করে ইয়েলগিরি পৌঁছাতে পারবেন।
বেঙ্গালুরু থেকে ইয়েলগিরির দূরত্ব তুলনামূলকভাবে কম, প্রায় ১৬০ কিলোমিটার, এবং পৌঁছাতে সাধারণত ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা সময় লাগে। সড়কপথে বেঙ্গালুরু থেকে ইয়েলগিরি যাওয়ার রাস্তা চমৎকার এবং এটিও একটি জনপ্রিয় রোড ট্রিপ রুট। গাড়ি বা ট্যাক্সি: NH 44 এবং NH 48 ধরে সহজেই ইয়েলগিরি পৌঁছানো যায়। বেঙ্গালুরু থেকে ইয়েলগিরির জন্য সরাসরি বাস পরিষেবা রয়েছে।রেলপথে বেঙ্গালুরু সিটি জংশন বা ইয়েসওয়ান্তপুর থেকে জোলারপেট্টাই জংশন (JTJ) পর্যন্ত অনেকগুলি ট্রেন পাওয়া যায়। জোলারপেট্টাই থেকে ট্যাক্সি বা বাসে করে ইয়েলগিরি যাওয়া যায়।