রাজনীতি এবং জ্যোতিষশাস্ত্র
সন্তোষ উৎসুক
নির্বাচন হলে জ্যোতিষশাস্ত্র নিয়ে আলোচনা ও ব্যয় বাড়তে বাধ্য। জ্যোতিষীরা খুব বুদ্ধিমত্তার সাথে গণনা বিশ্লেষণ করে এবং অভিজ্ঞতা, পরিচিতি, বিশ্বাস এবং সমসাময়িক পরিবেশের রসায়নের সাথে মিশিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করে। রাজনীতিবিদদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ জ্যোতিষীরা সরাসরি বা তাদের পক্ষে ভবিষ্যদ্বাণী করে। জ্যোতিষী আছেন যারা ভয় পান না। তারা জানে কিভাবে তাদের কাজ সঠিকভাবে করতে হয়। তারা স্টিং ইনজুরির উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যত বলে। তার কথা কিছু মানুষকে গাধা মনে করে।
এটি ঘটে যে সমস্ত ভবিষ্যদ্বাণী এবং প্রত্যেকের ভবিষ্যদ্বাণী সত্য হয় না। ভবিষ্যদ্বাণী সত্য না হওয়া পর্যন্ত জ্যোতিষী একজন ভিআইপি। মিথ্যা প্রমাণিত হলে কিছু সময়ের জন্য তার বিশ্বাসযোগ্যতা পড়ে যায়। পরবর্তী ভবিষ্যদ্বাণী সত্য প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কিছু ব্যবসায়িক ক্ষতিও হতে পারে। আপনি যাই বলুন না কেন, বর্তমান অনিরাপদ, অনির্ভরযোগ্য এবং স্বার্থপর পরিবেশে যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের জন্য জ্যোতিষশাস্ত্র অবশ্যই একটি মনস্তাত্ত্বিক সহায়তা হিসাবে কাজ করে। যজ্ঞ অনুষ্ঠান হলে দরিদ্রদের উৎসাহ অটুট থাকে। তবে উদ্দীপনা খুব বেশি বেড়ে গেলে ক্ষতিকারক হতে পারে।
মজার ব্যাপার হল গোটা বিশ্ব এই সময়ে ভারতকে নিয়ে পাগল। আমরা প্রত্যেকটি কাজ আগে করেছি যার মূল্যহীনতা বিশ্ব পরে জেনেছে। আমাদের দেশের মতো নির্বাচনের দিন বিদেশেও রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি জ্যোতিষীরাও ব্যস্ত থাকেন। তার সূত্র প্রয়োগ করে এবং ভবিষ্যদ্বাণী করে, তার ব্যবসা এবং ভক্ত বাড়ছে। বিজ্ঞ জ্যোতিষীরা বলছেন, তারা গত বছরই বলেছিলেন কমলার গ্রহগুলো ভালো অবস্থানে রয়েছে। এই জ্যোতিষীদের অনুসারী বেড়েছে মানে তাদের ব্যবসা জমকালো। অমুক অমুক নেতা এরই মধ্যে পরামর্শ নিয়েছেন বলেও রহস্য উন্মোচিত হচ্ছে। জ্যোতিষশাস্ত্রের পরামর্শ গ্রহণে ক্ষতি কী? এটি কোনও অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ নয় যা শরীরে কোনও প্রভাব ফেলবে। জীবন, ক্যারিয়ার এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে যখন চাপ এবং অনিশ্চয়তা বাড়ছে তখন তরুণরা খুব আকৃষ্ট হচ্ছে। জ্যোতিষশাস্ত্র তাদের জন্য থেরাপির মতো কাজ করছে।
আমাদের জন্য জাতীয় এবং গর্বের খবর হল যে বিদেশী জ্যোতিষীরাও ভারতীয় জ্যোতিষীদের মতো উপলক্ষ অনুযায়ী তাদের কথা ও জিহ্বা নাড়তে শিখেছে। পরিস্থিতি ও ঘটনা বিশ্লেষণ করতে গিয়ে কপালের দিকে তাকিয়ে নিরাপদ ব্যবসা করছেন তারা। দেখা গেছে, জ্যোতিষীরা বিভিন্ন কথা বলছেন যার মধ্যে সুবিধাবাদও দৃশ্যমান। প্রার্থীর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন একজন জ্যোতিষী। সাধারণ মানুষ জ্যোতিষশাস্ত্র ও রাজনীতির পুডিং খুব সুস্বাদু মনে করে। আনন্দের বিষয় হলো আমাদের দেশের মতো সেখানেও এসব হচ্ছে।
(Feed Source: prabhasakshi.com)