একজন চেয়ারপারসনের গল্প
ডঃ সুরেশ কুমার মিশ্র
হে ভগবান, এই চেয়ার-সিংহাসনে আমরা কতটা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছি, তাই না? আগে কেউ সিংহাসনে বসলে সিংহ হয়ে যেত, এখন চেয়ারে বসলেই মনে হয় স্বৈরশাসক হয়ে গেছে! কিন্তু ব্যাপারটা হল সিংহাসন আর কুরসির মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। কেউ চেয়ারে বসার সাথে সাথেই তার গুরুত্বের সিংহ মনে মনে গর্জন করতে থাকে। এবং এই সিস্টেমের উৎপত্তি সম্পর্কে আমরা কি বলতে পারি! এটা ব্রিটিশদের দান, কিন্তু সিংহাসন আমাদের দেশে বহুকাল ধরেই আছে। মাঝে মাঝে আমার মনে হয় আমরা সবাই ঈশ্বরের একটাই রসিকতা, আর সেটা হল- “চেয়ারে বসলে সবার মাথা ঘুরে যায়!” হায় ঈশ্বর আমাদের এই অবস্থা। আগে কেউ সিংহাসনে বসলে সিংহ হয়ে যেত, এখন চেয়ারে বসলেই মনে হয় স্বৈরাচারী হয়ে গেছে! কিন্তু এসব কিছুই নয়। কেউ চেয়ারে বসলেই তার গুরুত্বের সিংহ মনে মনে গর্জন করতে থাকে।
প্রথম কথা হলো ব্রিটিশরা আমাদের সিংহাসনের মতো অস্তিত্ব দিয়েছে, কিন্তু আমরা কি তাদের স্বাগত জানাব? আর একজন ভারতীয় যখন প্রথমবার সিংহাসনের মতো চেয়ারে বসার সুযোগ পান, তখন তার বন্ধুরা ‘উল্লাস’ বলে! ‘উল্লাস’ ভ্রষ্ট হয়ে ‘চেয়ার’ হয়ে গিয়েছিল, আর এখন এই শব্দটি ভারতের প্রতিটি রাস্তায় ও এলাকায় পাওয়া যায়!
আমার এক বন্ধু ছিল, সে একটা বড় চেয়ার দাবি করেছিল। কিন্তু এটা কি ছিল? তার উপর বসার দাবি করার সাথে সাথেই তার মুখ থেকে কড়া কথা বের হতে থাকে! তার আঁকাবাঁকা মুখ সোজা হয়ে যাওয়ার পর তার কথাও সোজা হয়ে গেল, কিন্তু আমি যখন তার চেয়ারটি পরীক্ষা করলাম, তখন আমি তার ভিতরে একটি ভয়ানক ছত্রাকের বাহিনি আবিষ্কার করলাম! আর সেই বেডবগগুলি আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে, যেমন একজন চেয়ারপারসনের রক্ত থেকে কত ভয়ঙ্কর ‘জীবাণু’ বের হয়!
আমাদের শহরে একজন সরকারি কর্মচারী আছেন, যিনি ঘুমিয়ে শহরের সেবা করতে পছন্দ করেন। কিন্তু এটা কি সত্য যে তাকে যখন সমাবেশে বসানো হলো তখন তার মুখ সোজা হয়ে গেল? না না, তিনিও সেই একই খাটের কট্টর প্রভাবে এসেছিলেন, যার কারণে তার মুখ বাঁকা হয়ে গেছে! আমাদের দেশের শেঠরাও কম নয়। তারা বুঝে গেছে এক জোড়া চেয়ারে ধর্মের কোনো পার্থক্য নেই। যে কারণে তারা তাদের দোকানে বালিশের পরিবর্তে চেয়ার রেখেছে! একজন চেয়ারপারসন আর একজন শেঠের মধ্যে অনেক পার্থক্য, কিন্তু সেই পার্থক্য বোঝা কতটা কঠিন! যতবার সে চেয়ারে বসে, ততবারই ব্যক্তির অভ্যাস বদলে যায় এবং সে শেঠ হওয়ার শৌখিন হয়ে ওঠে!