কি ধরনের অধ্যয়ন
ডঃ সুরেশ কুমার মিশ্র
আমার পাড়ায় একটা ছেলে থাকত। তার লেখাপড়া দেখে স্কুলের আগেই তার রেজাল্ট ঘোষণা করেছিলাম। বলা যায়, বিড়াল দেখলে ইঁদুর যেভাবে ছুটে যায় সেভাবে সে বই দেখে পালিয়ে যেত। আমি ওকে অনেকবার ওর মুখে বলেছি তোর কিছু হবে না। কিন্তু ব্যাপারটা আসলে কি, আপনি শুধু কিছু ইডিয়ম পড়ে বুঝতে পারবেন না। অভিজ্ঞ হতে হবে. উদাহরণ স্বরূপ, যখন গাধা এবং ঘোড়া গাড়ির দামে ইঞ্জিনিয়ারিং সিট পেতে শুরু করে তখন আমি দই-এর মর্মার্থ বুঝতে পেরেছিলাম। তাই পাশের ছেলেটিও ইঞ্জিনিয়ারিং সিট পেয়েছে। এখন সে আমার সামনে দিয়ে এমনভাবে চলে যায় যেন সে একটি বড় তীর ছুঁড়েছে। এসব দেখে তখন বুঝলাম, এদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ঘোড়াকে গাধা আর গাধাকে ঘোড়ায় পরিণত করার ক্ষমতা রাখে। এখন অবস্থা এমন যে, কে কোন ডিগ্রি পাবে তা ঈশ্বরও বলতে পারেন না।
কয়েকদিন ধরে ছেলেটাকে দেখি না। এক রাতে স্থানীয় টিভি চ্যানেলের খবরে তাকে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হতে দেখা যায়। দু-চারজন পুলিশ তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। ইন্সপেক্টর সাহেব মিডিয়ার সামনে তাঁর রামায়ণের গল্প শোনাচ্ছিলেন। তার মতে — আজকাল কিছু ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র তাদের নিজেদের বাদে অন্য সব কোর্সে নিজেদের শক্তি দেখাচ্ছে। যেমন চুরি, মারামারি, ডাকাতি, খুন ইত্যাদি। এই নবাবজাদা একই সম্প্রদায়ের। ভদ্রলোক পরীক্ষায় প্রতারণার শিল্পে এতটাই পারদর্শী হয়ে উঠেছেন যে তিনি নির্ভয়ে এই কৌশলের অনলাইন শপ খুলে অর্থ উপার্জন করছেন। নানা কৌশল অবলম্বন করে, নাকে, কানে, মুখে এমনকি চুলে মাইক্রোফোনের চিপ লুকিয়ে, প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে পরীক্ষায় সফল হওয়ার কৌশল শেখাচ্ছে।
আমাদের দেশে সবই সম্ভব। অনেকেই আছেন যারা ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, বিজ্ঞানী হয়েও অজ্ঞাতনামা অন্ধকারে রয়ে গেছেন। এই ধরনের লোকেরা চাকরির চেয়ে জুগাধরের মতো হয়ে ওঠে। জুগাড়িতে তাদের সামর্থ্যের কোন মিল নেই। তারা তাদের ডিগ্রিকে একটি কাগজ এবং নিজেদেরকে এই জাতীয় কাগজের বাণ্ডিল হিসাবে বিবেচনা করে। আলোর অধ্যয়ন ভাল এবং অন্ধকারের অধ্যয়ন অন্ধকার কাজের দিকে পরিচালিত করার জন্য। পড়াশুনা যখন সিস্টেমের কাপড়ে প্রদর্শনের একটি সূচিকর্ম হয়ে যায়, তখন সঠিক পদক্ষেপটি তাদের ফেলে দেওয়া। পড়াশোনার অনুবীক্ষণ যন্ত্রে এখন শুধু চাকরি বা প্রতারণার জীবাণুই দেখা যাচ্ছে। যে ব্যাকটেরিয়াগুলোকে আদর্শ নাগরিক বলা হতো তারা শুধু কথায় পরিণত হয়েছে। শিক্ষার মাধ্যমে ভালো ও ভালো হয়ে ওঠার ব্যবস্থায় কিছু অংশ ভুল হলে সমাজকে সমস্যায় ফেলে। যতদিন আমাদের শিক্ষায় মার্কসের প্রতিযোগিতা থাকবে, ছাত্ররা শুধু নম্বরের পিছনেই ছুটবে। কারণ সবাই জানে যে আদর্শের পিছনে ছুটলে ক্ষুধা, তৃষ্ণা ও চাহিদা মেটে না। তাই আদর্শকে অজ্ঞাতনামা দেয়ালে উঁচু করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, পুলিশ এমন খারাপ চিন্তার লোকদের ধরতে পারে, কিন্তু তাদের চিন্তাভাবনাকে নয়।
(Feed Source: prabhasakshi.com)