নবধারাজলে
দেবাশিস মুখোপাধ্যায়
১.
একটা অদ্ভুত বসে আছে বাইরে ভিতরে
রামপ্রসাদী গেঁথে যে ভোর সুর + আলো
লোককে কখন অলৌকিকে ঠাঁই
আমি মুছে
নিরাকার
ফিরতে চাইলেও দেখি
সব বলা শেষ হয়ে গেছে
২.
ভোরের কীর্তনে সেজে উঠেছে রাধাচূড়া
এই রাস্তা ক্রমশ ব্রজের
পুকুরে স্নান সারা কিশোরের
খালি গা
খুব টানে পড়তে আসা মেয়েদের
ছোট ছোট ঢেউ সূর্য ঢেকে দেয়
৩.
ঝড়ের পরে এই সাফসুতরো সকালে
ছবি ভাসছে জমা জলে
গতকালের দীর্ঘ গাছ
আজ নেই
আর ছেঁড়া পালক + ছিন্ন ডাল
গাইছে অসার সংসারের রজনীকান্ত
বিশাল গর্তের মুখে তবুও শিকড় হাসি
৪.
পাখিজ্বর নিয়ে যে রবিগান ফুটল
তাকে অতল বোঝাই
অতুলপ্রসাদ আসে
দামোদরের ধারে
বাঁশগাছের ঝোপে সবুজ টিয়াদের ঠোঁট ঘষাঘষি
তাদের উড়ানে একটি দীর্ঘশ্বাসের আবহ
৫.
কাঁচের ঈশ্বর ঝলমল সূর্য পরে নিলে
কানের গভীরে বাজে মন তোর মন তোর
এই সরবোরে এক আকাশ প্রতিবিম্ব
রাজহাঁসের ডানা ছুঁয়ে
কমলাকান্ত ছড়িয়ে যায়
একটি সকাল যেন পূর্বের দেখা সকাল না
এই গাছের ফলও ফলহারিণীর কৃপায় অটুট
৬.
রাই অঙ্গের ছটায় কখন কৃষ্ণ মেঘ গৌর
এ পাড়ার গাছেদের মন নগর কীর্তনে
মাতোয়ারা শব্দটি
জানালা ছুঁলে মৃত কাঠও ভাব বিহ্বল
না পাওয়া কত কিছু
যেন ক্রমশ উজাড়
যে কাগজ উড়ে গেল তার গা ঘুড়ি চিহ্নিত