কৈশোর
সোহেল রানা
মাছরাঙা মন
নিয়ে চষে বেড়ানো পুকুর
ঘুঘু-ডাকা-দুপুর,
কিংবা ফিঙের বহতা পাখায়
তার কুচকুচে শরীর
ও জ্বলজ্বলে চোখে
এক দূরন্ত কিশোর।
উড়ে বেড়ায় ফড়িং —
কৃষ্ণচূড়া রং,
প্রজাপতি-বিকেল,
যার মনে ফুটে-থাকে সবুজ সকাল।
আলোকলতা
সোহেল রানা
চোখের নিমেষেই বৃষ্টি নামে
রোদ ওঠে
আবার মুহূর্তেই অন্ধকারে আকাশ ভরে!
আমি অন্ধকার কুড়িয়ে কুড়িয়ে চোখের পাতাভর্তি
আলোকটুকু বাতাসের গায়ে মাখি।
আলোকলতা, আলোকলতা, ওহে আলোকলতা
কোথায় তোমার বাড়ি?
কোথায় তোমার তরী?
আমার ঘাটে নোঙর করবে, নেবে তোমার বাড়ি?
যদিও জানি, তুমি তো বাতাসের হাতছানি!
অভিপ্রায়
সোহেল রানা
এ পৃথিবীর আলো-বাতাস কি আশ্চর্য রকমের ভালো
কারই ভালো না লাগে দু’চোখ ভরে সবুজ
আর জীবনের হরেক স্বাদ আস্বাদন
আমিও এর ব্যতিক্রম নই নিশ্চয়ই
ত, তুমি এক্ষুনি বরণ করে নেও মৃত্যু
হ্যাঁ, অবলীলায় মেনে নেব সন্তুষ্টচিত্তে
আর একটিবারের জন্যও ভাবব না আমি
চাইনা স্ত্রী-সন্তানসন্ততির মুখ দেখে সুখস্বপ্নবিভোর
কিংবা পৃথিবীর রঙধনু সাত রঙে রাঙাতে জীবন
হ্যা, যদি হয় তা সার্থক
আর যদি বলা হয়, আপাতত তোমার মৃত্যু নাই
পৃথিবীর কোনও স্বাদ আস্বাদনও
এবং ঠিকানা অগ্নির আধার
সেখানেও আমি নিরুপায়