responsive web design software

[ঈশানকোণ নতুন সংখ্যা দেখার জন্যে এখানে ক্লিক করুন]


কবিতা            Home      
যশোধরা রায়চৌধুরী


পতি পত্নী আউর ওয়ো!


“পোড়ারমুখী, মুখপুড়ি
তোর কেন নেই সুখ , ছুঁড়ি!”


প্রথম পক্ষের বউ, দ্বিতীয় পক্ষকে ডেকে বলে
এ্যাই শোন সেই থেকে দেখে যাচ্ছি ধোঁয়া উঠছে ডালে
এ্যাই শোন সেই থেকে দেখে যাচ্ছি পোড়া গন্ধ উঠছে, আলোচালে
এত ছলা পাস্‌ কই, দেখে-বেছে রান্নাটি চাপাতে পারোনা?
দ্বিতীয় পক্ষের বউ, প্রথম পক্ষকে বলে, আমি বাপু অত পারব না।

প্রথম পক্ষের বউ, দ্বিতীয় পক্ষকে ডেকে বলে
ঘরে বসে আছে বর, আজ তোর পালা।
দ্বিতীয় পক্ষের বউ প্রথম পক্ষকে বলে,
আজ আমার নিজ-দিন, আজ আমার নিজেকেই সাজাবার ডালা
খুলে বসব। তুই যা না, গিয়ে কর পদসেবা, কী আমার পুত্তুর এলেন
রাজা নাকি? পুজিতং করতে হবে, ছাড় ছাড়, অনেক হয়েছে পতি সেবা।
এতো বড় জ্বালা।

প্রথম পক্ষের বউ দ্বিতীয় পক্ষকে বলে,
এতটা গুমোর তোর ভাল নয়, ও বেঁকে বসলেই বুঝবি কত ধানে কত চাল, কে বা
তোকে ও আমাকে রাখে ভাল বাসা দিয়ে , ভাত দিয়ে, ভাতার, ভাতার...
এত রাগ ভাল নয়, কেটে ফেল, ও রাগের ঝাড়।
কুমড়ো পটল আর ডাঁটার তরকারি চাপিয়েছি
তার মধ্যে ও রাগের মাথা ভেঙে দে না!

দ্বিতীয় পক্ষের বউ বলে আহা, আমি বুঝি কেনা
গোলাম? রাগের মূল্য বুঝিয়ে ছাড়ব, বুঝেছিস?
প্রথমপক্ষের বউ, দ্বিতীয়পক্ষকে দেয় মুখ ঝামটা, বলে,
ওলো, চোখের মাথা কি খেয়েছিস?
ওই দেখ গরম হয়েছে ইস্তিরিটা।
দ্বিতীয় পক্ষের বউ, বলে এ-গরম আহা, রাগের, পাকের,
আত্মরতি মিশেলে এই শেষ আমার স্ত্রী-ধন, স্ত্রী-ধন।
এই রাগ, তুই, যেটা কুটেকেটে আঁশবটি ধুয়ে রেখেছিলি
                  বিয়ের রাত্তিরে
আমি তো সেটাই আজ আঁতে ঘষা দিয়ে দিয়ে
                 শানদেওয়া, ধারালো করেছি
এবার দ্যাখনা , ওকে কীভাবে কী করি।

স্বামী খাটে বসে দেখে, বউ দেখে, ভয় পায়, ভাবে, মন পড়ি
শুধু মুখরেখা পড়ে, ভেতরে কী কথা চলছে, কী তোলপাড়, বোঝাও যাবেনা।
গিন্নির মটকা গরম হলে মহা কেলেংকারি হবে যে, না!
স্বামী খাটে বসে বসে ঘামে, আর পাউডার গলে যায়, গিন্নির ইস্তিরি গরম হলে
শার্টে চেপে বসলেই , মনে মনে বলে, হরি হরি!
  

                                                  HOME

[এই লেখাটা শেয়ার করুন]