এসো কল্কি সলিল রায়
এক
এসো কল্কি সময় ঘোড়ায়
চেপে, হাতে নাও জ্ঞানের
তলোয়ার । এক এক কোপে
কাটো অন্ধবিশ্বাস আর
ছুঁড়ে দাও প্রশ্নচিহ্ন শূন্যের
দিকে বারংবার ।
দুই
আহ্নিক গতির চেয়ে একটু বেশী
জোরে যদি যাও তুমি
ঠিক বিপরীতে । অদৃশ্য
হবে তুমি, আর
হতে পারো অমর – হয়তো বা
কোন একদিন ।
তিন
বীজে সুপ্ত থাকে গাছ,
গাছে বীজ আবার ।
কেউ আগে নয়
কেউ পরে নয়
পুরোটাই সময় পারাবার ।
চার
বর্ধমান বৃত্তের পরিধিতে আমাদের
ঘোরাফেরা বারবার ।
তারপর ঘরে ফেরা
কেন্দ্রের দিকে ।
আমরাই অর্ধনারীশ্বর ।
আমি ও কালপুরুষ রাজা ভট্টাচার্য
ঘন আঁধারে দূরে অস্পষ্ট অবয়বে
একটাই মিট্মিটে আলো
তারই বিচ্ছুরণ ঠাহর করে এগিয়ে চলি
আমি ও কালপুরুষ
দু’ধারে নালা থেকে
কৌতূহলী ইঁদুরেরা ঝাঁপিয়ে পড়ে
তবু এগিয়ে চলি
যুগে যুগে আলোকবর্ষে
যেথায় অসুখ লক্লকিয়ে ওঠে
চালের মাচা বেয়ে
সেখানে আমার শিশুর মুখের দুধের গন্ধে
পিদিমের আলোয় ঘোড়াপোকারা
ব্যঞ্জনবর্ণ শিখে ফেলে
আমি ঘুম ভেঙে তাকিয়ে দেখি তার চলা
পায়ের শব্দে জেগে ওঠে ভেজা ঘাস
শুরু হয়ে যায় অবগাহন
তিন পুরুষের অনল ।
দর্পণ রাজা ভট্টাচার্য
বাইরের দেওয়ালে ঝুলে আমি দেখি
ভিতর থেকে পুরানো তক্ষকটা
কোন তর্কের অবকাশ নেই
শুধু সায় দিয়ে যাওয়া ঠিক্ ঠিক্
আমার বাইরে ঘর
না ঘরের ভিতরে আমি
এভাবেই সন্ধ্যে নামে
ধোঁয়াশায় চোখ জ্বলে
তবু বলে চলে ঠিক্ ঠিক্ , ঠিক্ ঠিক্
বৈরাগী ফুল বিমল শীল
শেষ মাড়াইতে ক্ষেতে নামে পড়শীর মেলা
আলপথে শৈশব যায়
কী সুখে জড়িয়ে রাখ প্রাণ
এমন উদাসী হাওয়ায়
বৈরাগী ফুল ফোটে
ওম/১ বিমল শীল
একেকটা বিকেল নামে প্রণত ধানের ডগায়
ছায়া দীর্ঘ হয়
মহিষের পিঠে চড়া বিকেলের শেষ আলোয়
গ্রাম বধু তুলে রাখে ওম
তেল চিট্চিটে
নকশীঁ কাঠার ভাঁজে ভাঁজে
বেলাজা গোধুলি বিমল শীল
শীষহীন আমনের শরীর বেয়ে নেমে আসে;
গোধুলির আবির মাখা আজান
বেণুবিহীন গোঠ ফিরিতেছে ঘরে
ফাগুনের আগল-ডাইয়া সাঁঝের ফড়িং
নাচে কিশোরীর বেণী বাঁধা লাল ফিতার
ভাঁজে ভাঁজে
রাইবধুর রাঙা পলাশ
মুখ ঢেকে যায় শিশিরের
নিশি অভিমানে ।
HOME
[এই লেখাটা শেয়ার করুন]