আনমনা ১
ভালোবাসার যে অবিষয়ী অন্তরঙ্গ—
ভোরাই
নদীর অনন্ত
আকাশ-প্রদীপ
তড়িৎ জানালা
যেমন চাঁদের তিথিবদলে সাগর উচ্ছল
দূর থেকে পাখিরঙ, একটা
আকাশ ভরে দেয় বুকের ভিতর-কণিকায়
শটিফুলের আলিঙ্গণে কথা শেষ হয়ে যায়
সর্ষেবাগানে ঝুম-শরাবী পেয়ালা আয়েষ
আওয়াবিল পাখির নেশানো বাসা নিয়ে
হোক না একটা শীতজমির রোদেলা...
আনমনা ২
আনমনা পেয়ে বসলো
অক্ষর ঠোক্কর খায় যত
নদীর সাজানো স্যান্ড-স্কাল্পচার
যদি দীঘলবেলা স্রোতে ধুয়ে যায়
পিপাসার্ত নদী পারে এসে চোখ মোছে
ঝাউবন শন্ শন্
ঝড় কাঁপে
আনমনা ৩
আদর এসে আস্কারা চাইলে
আমার কী দেওয়ার থাকে
এক টুকরো সায়াহ্ন ছাড়া!
সূর্যের শেষ উঁকিটা শেষ
আমায় জড়িয়ে নিয়েছে শীত- শীত
অকাতর এসে যদি ‘খুব একটা আকাশ হয়ে যাক’ ব’লে
ডাক দেয়
আমার কবিতা পায়
কেনো!
HOME
[এই লেখাটা শেয়ার করুন]