বীজ
বীজের রহস্য জেনেছে যে
সে টেররিস্ট হতে পারে না বড়জোর ভিখিরি;
সন্তানের মুখ দেখেছে যে বাস্তবিক
সে হতে পারে না ঘাতক বড়জোর ফিকিরি।
এরকম কথাও আজ মরে গেছে
এরকম বিশ্বাসও আজ ঝরে গেছে
এ রকম চেতনারা কোথাও যেন চাপা পড়ে শাদা ঘাস,
শ্বাস-প্রশ্বাসহীন জীবন যাপনে মজেছে
ছাইচাপা আগুনে মুখ গুজে মরেছে।
মাটি চাপায় বীজ থেকে সৃষ্টি রহস্য যেমন
দুলতে দুলতে মানুষ সেজেছে,
মান-হুশের বালাই নেই কোথাও।
আকাশে যতো বেশি সাঝ সাঝ রব
ততো মেঘ কেটে নীল হয়ে আকাশ চুপচাপ;
সময় হজম করেছে তাঁর জলবায়ু বাতাস।
বিশ্বাসেরা রোজ হামাগুড়ি দিয়ে ঘাড়ে চেপেছে
ঘাড় হয়েছে সোজা টানটান;
মান-সম্মান বুঝেছে তার জলবায়ু বাতাস।
এ মুহূর্ত
ধরে রাখার টানে চিনেছে জীবন;
যৌবনের হাহুতাশ সব মাটির কাছাকাছি।
সময় ধরে রাখার অভ্যেস
বীজের রহস্যে ঘুমিয়ে পড়েছে স্বাধীন।
জল
যা লিখি সবই জলে যায়। কিছুই বাকি থাকে না কবিতায়।
অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গড়ন চুল নখ ও পদ্মনাভি পর্যন্ত পুড়ে ছারখার। অলংকার
সব খুলে রেখেছে সে কবিতা। প্রেম অপ্রেমে মুগ্ধ চোখ তুলে তাকায় আকাশের দিকে।
খোলা আকাশের ভবিষ্যৎ পাখির হৃদয়ে নিবদ্ধ।
যা লিখি সবই জলে যায়। তাই লিখি না কেবল আঁকি কাজল, চোখের পেলবতায়।
এখন রাতের মুগ্ধতায় দিনগুলো জ্বলজ্বলে।
শরীরের ভেতর কাঁটাকম্পাসে সব ধরা পড়ে
যেমন যৌবনরস উপচে তোমাকে শেখায়
সৃষ্টিরহস্যের শব্দপাতা এবং অ্যামিবার দৈনন্দিন আচরণ।
হৃদয়ে মন্ত্রোচ্চারণই
সব কিছুর ঊর্ধ্বে অলংকার, এই সুন্দরতর জীবন যৌবন
জ্বলজ্বলে, ঝাঁপ থাকে না হৃদয়ে।
যা লিখি সবই জলে যায়। আবিষ্টচেতনায় যা বেরোয় সবই ক্লেদ।
ক্লেদজ কুসুমের ভেতরই লুকিয়ে সব রহস্য
যা ভেদ করে হৃদয় বেরোতে চায় না।
ভেতরে বসে চুপচাপ ধ্যানস্থ কবিতার মুখোমুখি
যেতে চায় কলমের বাকি রাস্তা,
যা সরল অংকের মতো জীবন জলবৎ তরলং।
বিষয় একটাই
বিষয় একটাই
বেঁচে থাকা ও বাঁচিয়ে রাখা;
আঁকাবাঁকা অনেক পথই
চারিদিক জুড়ে হাঁটে
তুমি যতই থাকো ঠাটেবাটে
হাজারো চোখ জ্বলে চারদিক
নক্ষত্রেরই হাটে।
মন যেদিকে ইচ্ছে চলে যাক
কেউ করে না মানা
সকাল বিকেল দিচ্ছে শুধু বিবেক জংশন হানা।
বিষয় একটাই
বেঁচে থাকা ও বাঁচিয়ে রাখা।
HOME
[এই লেখাটা শেয়ার করুন]