সনজিৎ বণিকের কবিতা

সনজিৎ বণিকের কবিতা

গুঞ্জন

সনজিৎ বণিক

এখানে স্বপ্নের গুঞ্জন নেই,
নেই আলোর অধিক কোনো আলো কিংবা ফর্সা সকাল,
পাড়ার একজন মাসিমণি রোজ ভোরের সকালে সাদা ধবধবে ইস্ত্রি করা শাড়ি পড়ে বেড়ায় হেঁটে চারদিক,
ফুলেরা সব কান পেতে শুনে পায়ের আওয়াজ।
স্বপ্নে পাওয়া মানুষেরাও কাঁচাঘুম থেকে জেগে চোখ রগড়ে দ্রুত বেরিয়ে পরে ভোরের রাস্তায়।
এখানে ভৌতিক স্বপ্নের গুঞ্জন নেই,
আছে শুধু মৌলিক কথাবার্তা রোজ সকালে।
কারা যেন হেঁটে হেঁটে চারদিক মাত করে
চোখে দেখা যায় না সে সব ছবি,
শুধু শব্দের পিঠে কান ঠেকিয়ে বোঝা যায় পাড়ার মাসিমণির পায়ের শব্দ, মুখে তার কৃষ্ণ ঠাকুরের জয়গান আর দুমুঠো ভর্তি জবা করবী ও কাঠগোলাপী ফুল,
কাকে কোন মন্দিরের
দেবতার চরণ জুড়িয়ে যাবে বুঝে ওঠা বড়ো কঠিন।

তখন আকাশ আরো লাল, সূর্যের গনগনে আলোয় প্লাবিত হয় আকাশ বাতাস।

এই যে আপনাকে বলছি

সনজিৎ বণিক

এই যে আপনাকে বলছি
শুনছেন,
না শুনেননি-
আরো দৃঢ় গলায় বললাম, এবার।
কী করে শুনবেন।
আপনার কান নেই চোখ নেই উপলব্ধি নেই, মোদ্দা কথা প্রয়োজন নেই কারো কথা শোনার।
ভালো মন্দের শব্দের উচ্চারণের
কোলাহলের, স্বার্থের কথা না থাকলে কে কাকে পাত্তা দেয়, সময়টা এরকম এখন।

আসল কথায় আসি।
কবিতারা সব অন্তরের তাজা গোলাপ, আসুন, আপনাকেও দিলাম উপহার।
আনন্দ পেলাম, আপনিও আনন্দিত কমবেশি, অভিব্যক্তিতেই বোঝা যায়।

এখন সময়টা বড়ো বেশি কবিতাময়,
এখন সময়টা বড়ো বেশি প্রেমময়,
এখন সময় ধরে রাখাটা বড়ো বেশি উদাসী বাউল,
এখন সময়টা স্বপ্নময় শুধু নয়,
যতো বেশি কাছে যাওয়া নিজেকে চিনে নেওয়া ও ততো বেশি কবিতাময়।

এই যে আপনাকে ও তোমাকেও বলছি ……
চোখের পর্দাটা খুলে ফেলো,
মনের দরজাটা উদাসী হাওয়ায় দুলতে দাও।