দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ের কবিতা

রসিক

দেবাশিস মুখোপাধ্যায়


গাছের শরীর পড়ি আর পুকুরের ছায়া নি নিয়ম ভাঙার পর
পড়ে থাকে স্মৃতির আয়না

না পাওয়ার ব্যথা
থাকে থাকে এমনি সাজাই
ইচ্ছেঘুড়িতে যাতে সব সহজে উড়িয়ে দি

দিন নিভে এলে নিব ভেঙে ছড়িয়ে পড়ে কালি
লিখন অসমাপ্ত হলে
লেখার জামা যেন খোলা কতদিন
নক্ষত্রের মৃত্যুর পর

রসের গভীরে তবু শীতকাল মিষ্টি করে শোক


বাউল বেজে ওঠে

দেবাশিস মুখোপাধ্যায়


ঝড়ের ভিতর তার ডানায় মধু কুড়িয়ে নিতে নিতে একটা কিশোরবেলা। গাছের গা জড়িয়ে কত কথা
ফুঃ দিয়ে উড়িয়ে দিতে কেউ পারবে না। জলছবি দেখতে দেখতে প্রজাপতি রং পেয়ে গেল আর চোখের ভালবাসা।
বাসা পেয়ে গেলে আলো। বইয়ের তাক থেকে উড়ে আসছে পাতা। অক্ষর বসানো সকাল। খিদের গভীরে যে খালি বাটি মা মা করে ওঠে। চালা ওড়া ঘরে চাল ফুটছে
ফেনা জড়িয়ে ধরছে আগুন আর এক আশ্চর্য গন্ধ
অভাবের ঘরে ভাবকে লালন দেয় বাউল বেজে ওঠে পরম পাওয়ায়।

শীতকালীন লেখা

দেবাশিস মুখোপাধ্যায়


রোদের কাছে কথা থেমে যায়
শীত এড়াতে দুজনে বসি
এই অনড় ভাব কাঠবিড়ালীর পছন্দ
না হলেও সে ছুটে যায় পা থেকে মাথায়
একটি দুটি পাতা ঝরে
বুঝিয়ে দেয় কত মৃত এই সময়

মুখ চোখ শুকনো
ধূলো কত অনায়াসে জায়গা করে নেয়
দুজনের মাঝখানে এই নীরবতা
যেন কত জন্মের

ময়দানব আমাদের জন্য তৈরি করে নি
ইন্দ্রপ্রস্থ
শুধু স্বপ্নগুলি ক্রিকেট মাঠে হেরে গেলে
চোখের জলের পুকুরে
দুজনের স্নান

হায় ডুব দেওয়াও একটি অসম্পূর্ণ অধ্যায়