অভিজিৎ চক্রবর্তীর কবিতা

রোদ নিয়ে

অভিজিৎ চক্রবর্তী


রোদ। রোদের ভেতর জবা ফুল। জবা বললেই মনে আসে লাল রঙ। বিপ্লব। অথচ জবা এখন নানান রঙের। সূর্যেরই সব রঙ। সূর্যেরই সব জবা। সূর্যের সাতটি ঘোড়া একদিন এসে দাঁড়ায় আমার উঠোনে। একটি ঘোড়ার পেট ফাটা। একটি ঘোড়া কানা। একটির লেজ নেই। একটি কেশরছেঁড়া। প্রতিটি ঘোড়ারই কিছু না কিছু বিচ্যুতি আমাকে অবাক করে। আরোহীও উধাও। এই পরিণতি স্বাভাবিক কী না জানি না। আমি ছায়ার ভেতর বসে ভাবি, বিগত দিনের কাহিনি। নীল আকাশ। ঝকঝকে গাছ। এমনকি পাখির ডানাগুলো থেকেও ছিটকে পড়ছে আলো। ঘুম লাগে না। মনে হয় নিজের জন্য কাঙ্ক্ষিত জমি সুনীল আকাশ ত্যাগ করে অযথাই ঘোড়ার গতি নিয়ে নগরের বাইরে এসে দাঁড়িয়েছি।

নটীগণ আমাদের কথা ভুলেই গেছে। তাম্রপত্রে যার নাম লেখা, সে-ই পেয়েছে মালিকানা।

কৌতূহল

অভিজিৎ চক্রবর্তী


কোনও নির্জন পথে তোমাকে ফেলে এসেছি
এখন চড়া রোদ
আলস্য যায় নাই আমার
প্রথমে কিছুই ভুল ছিল না, এমন বর্ষা ছিল
এমনই জলবিন্দু ছিল সারা নিখিলে
এখন স্মৃতিময় বিকেলের দিকে দিন
ধান্দা কেবল সরে যাওয়া গাঢ় ছায়ার দিকে
সবই খরচ করে ফেলেছি
বন্ধু নেই। বিরক্তির সন্ধ্যা নামে প্রতিদিন
কোমল স্বরে আলো নিয়ে চলে গেছে দিন
আমার নিজস্ব দিন
নির্জন পথে বুদ্ধের পায়ের ছাপ
আমাকে শুকনো পাতার রাশির ভেতর
কৌতূহলী তাকাতে বাধ্য করেছে ।