সমস্যা – ব্রতীন বসু

সমস্যা     (অনুগল্প)

ব্রতীন বসু

কি কেন কেন করছেন? বললাম তো ইউ আর ফায়ারাড।
দুদিন বাদে ফাইনাল সেটেলমেন্ট নিয়ে যাবেন।
মাসের শেষ শুক্রবার। চাকরিটা চলে গেল।
বাড়ি ফেরার সময় নর্দমায় পড়ে গিয়ে প্যন্টের হাঁটুর কাছটা ছিঁড়ে গেল।
ফিরে শুনলাম পোশা টিয়াপাখিটা দেহ রেখেছে।
ছেলে স্কুল স্কুল থেকে ফিরে মুখ গোমড়া করে বসে আছে।
ক্লাসে কথা বলছিল একশো টাকা ফাইন করেছে।
ফাইনের টাকা দিতে গিয়ে দেখি মনিব্যাগটা নেই, হয়ত নালায় ফেলে এসেছি। খুব কিছু ছিল না তাতে,তবু লাইসেন্স কিছু ব্যাংকের কার্ড।
মা বলল, যা তো একটু চা পাতা নিয়ে আয় তো।
নিজেকে সজরে চিমটি কাটলাম। ঘুমটা ভাঙল।
মা বলল। কিরে যাবি চা পাতা আনতে। আধ ঘন্টা ধরে বলছি।

না, চেষ্টা করেও সমস্যাগুলো নাইটমেয়ার বানানো গেল না।
তারা সেই বাস্তবই রয়েছে। মাঝের ঘুমটা ফেলিয়র। না পুরোপুরি ব্যর্থ নয়।
মুদির দোকানে আপাতত নাম লিখে চা-টা আনি।
বাকি সমস্যা একে একে দেখা যাবে।
কি যেন গানটা ছিল কিশোরের?

ইয়ে জীবন হায়, ইস জীবন কা ইয়েহি
ইয়েহি ইয়েহি রংরূপ
কুছ খুশিয়া কুছ গম।

গান শোনার ইচ্ছে তে পুরোনো মোবাইলটা খুঁজে অন করলাম।
সমস্যার টিমের দুটো উইকেট ডাউন হল।