দিশারী মুখোপাধ্যায়ের কবিতা

লোকুইয়াল

দিশারী মুখোপাধ্যায়

কবুতরকে কবুতর বলিনি আমরা কখনও
বলিনি পারাবত,
পায়রা বলেই তাকে ডেকেছি চিরকাল।
কোন পায়রার বুকে কতটা ক্ষত
কতদিন ধরে রয়েছে
কস্মিনকালেও কেউ খুঁজতে চায়নি,
বুঝতে চায়নি।

না লেখা কবিতাটি,
কবি যেটি উচ্চারণ করে উঠতে পারেননি এখনও,
ক্লিসে ও উচ্ছিষ্ট শব্দে যাকে ধরা যায়নি,
সে-ই জানে কতখানি রক্তক্ষরণ হলে
কাঁচুলির নিচ থেকে কান্নার কানীন রব
শব্দহীন আল্পনা আঁকে।

কী কারণে করণের কতটা গুরুত্ব মানা হবে
কাল জানে, কেশব জানে না।

খই

দিশারী মুখোপাধ্যায়

খড়খড়ি তুলে ঘরে ঢুকেছে হাওয়া,
খয়াটে চাঁদের সামান্য আলোও তার পিছুপিছু।
খানদানি বাড়ির খুব ভেতর থেকে
খাম্বাজের সুর ছড়িয়ে পড়ছে দিকে দিকে
খারিফ শস্যের ঘ্রাণের মতো।

এরই মধ্যে এক খঞ্জ ভিখারি ক্ষুণ্ন মনে
খোয়া যাওয়া জীবন খুঁজছিল একমনে।

হাসিকে খিলখিল করে যে মেয়ে
সে কোথা থেকে দৌড়ে আসে তার দিকে,
খুলে দেয় খলশে মাছের ঝাঁপি থেকে
বেঁচে ওঠার অদম্য জেদ।