বাপ্পা চক্রবর্তীর কবিতা

বুক পোড়া ঘ্রাণ

বাপ্পা চক্রবর্তী

পরের বাগান থেকে ফুল চুরি গেলে
আমার ভেতরে যেন পোড়া গন্ধ পাই
তার চুল খোলে হাঁটা জামা পরা মন
গোপনে বেঁধেছে বাসা হয়তো গভীরে

নয়তো এমন করে বুকে কেনো ঘ্রাণ
আমার পরান যায় হাওয়ায় উড়ে
দূরে দেখে তারে পিছু পিছু হেঁটে যাই
কথা নাই চুপচাপ দেখি ভালোবেসে

আমার বাগান আজ ফাঁকা পড়ে আছে
নেই কেউ কাছে তবু ভালোবাসা আছে
একা একা গেয়ে যাই বিরহের সুর
তবুও তোমাকে ছেড়ে থাকতে পারি না

একটু দাঁড়ালে মন স্মৃতিতে দাঁড়ায়
প্রজাপতি ওড়ে ঘরে সুরেতে শানাই
মিলন তিথির দু’টি পাখি চেয়ে আছে
একটি নৌকার দিকে সময় দৌড়ায়

তারপর সংসার খই ফেলা পথ
উঁচু নীচু ঢেউ তুলে নৌকা দোলে যায়
ফোঁটা ফোঁটা জল জমে বুকের ভেতর
মুছে যায় সব স্মৃতি সরদের সুরে

সব কিছু যেন দূরে বহু দূরে সরে
মনে পড়ে বিবাহিত কাল ভালোবেসে
পারে পারে মৃত্যু ডিঙা লেগে আছে তীরে
ফুল সজ্জা থেকে যাই শ্মশানের দিকে

ফিরে আয়

বাপ্পা চক্রবর্তী

মেয়েটির চারপাশ আছড়ে পড়ছে
প্রখর রোদের খেলা ঘর ভাঙা সুর

কিছু চোখ ভিড় করে মুঠোয় রেখেছে
কোন পথে হেঁটে যাবে আমার মেয়েটি

একশ আটটি ফুল জলের পদ্ম
ডুবে ডুবে টেনে এনে তবেই পার্বণ

কাকে দোষ দিবি বল একা উৎসব
বুকে আমার লালন শৈশব যে তোর

ছোট ছোট হাত পায়ে হেঁটে যেতে তুই
সমস্ত হিংস্র প্রাণী মুখ খুলে আছে

তোর চারদিকে কালো মেঘের চাদর
কোথায় হাঁটতে যাবি নখের আচড়

আমার বুকেই ফিরে আয় ফিরে আয়
তোকে ছিড়ে নেবে ওরা আয়রে বর্ণনা ।