সন্তোষ রায়ের কবিতা

আদিমতা

সন্তোষ রায়

তখন কথা ছিল ইশারাতে— বনে বনে ঘুরে ঘুরে
সারাদিন শিকার, তারপর শ্রমে ঘামে আদিম সহবাস। তখন কথা ছিল আকারে ইঙ্গিতে।
ভালবাসার ভাষা ছিল না । ছিল না আগুন, গান। অরণ্য জুড়ে নারী আর মাংস, মাংস আর নারীর ঘ্রাণ।

এখনো ইশারায় কথা হয়। আকারে ইঙ্গিতে বিনিময়! এখনো পুরুষ বেড়াল চেপে মারে নারী বেড়ালকে। শুধু পোষাকের আড়া‌লে চলে গেছে নগ্নতা। এখানকার অট্টালিকা যেন তখনকার পর্বত চূড়া, মানুষ চলমান গাছপালা, আর যত বিশ্বাস সব পাথর। আগুন আবিষ্কৃত হয়নি এখনো। যুদ্ধ চলছে, নারী বেড়ালের মতো আর্তনাদ করে দুর্বল দেশ, এখনো ওড়েনি আকাশে ত্রাতার পতাকা। এমনই আদিমতা—

সন্ধান ২

সন্তোষ রায়

তবে ঢাকা-ই থাকুক সব। সুন্দরকে দেখতে নেই। সুন্দরকে ছুঁতে নেই। ঢাকা-ই থাকুক সব। একদিন দেখা হবে সংগোপনে। যেমন উদ্যানের ফুল মেলে দেয় রূপ। কলঙ্ক ছেড়ে জোছনা নামে উঠোনে। অন্ধকার জ্বলে ওঠে সর্বাঙ্গে—

আমি আছি। অরণ্যে রাঁধিবাড়ি, খাই-দাই-ঘুমাই। শব্দের ডাকে যাই। শব্দ লিখি, শব্দ আঁকি। রূপ ফোটে না। ফুটে ওঠে পাগলির সংসার। ঘর নড়ে, বন নড়ে অশান্ত বাতাসে। সকল সৌন্দর্য ঢাকা পড়ে নরমুন্ডে। কখনো তুমি শান্ত, আমি অশান্ত, আমি শান্ত তুমি অশান্ত। টলোমলো নৌকো চলে রূপ-অরূপের দেশে।
এসো পাটাতনে বসে চোখ বুজি তবে—