ISHANKON a literary webzine in bengali ঈশানকোণ একটি সাহিত্যের ওয়েবজিন শরৎ পর্যায় আগস্ট-সেপ্টেম্বর ২০১৭ Please send your literary works to us আগামী সংখ্যার জন্যে এখনই লেখা পাঠাবার অনুরোধ রইল
এক
বাবা রামরহিমের কারাদণ্ড ২০ বছর মানা যায় না। কারাদণ্ডটা ২০ নয়, ২০০ বছর হওয়া চাই যাতে মৃত্যুর পর তার কঙ্কালটা জেলেই বন্দি থাকুক ২০০ বছর। তারপর ডাস্ট করে লাদেনের মত সমুদ্রে ভাসিয়ে দেয়া হোক।
দুই
এবার তিনজন অকাল প্রয়াত কবির কবিতা দেয়া হলো। কবিরা হলেন সুজিত রঞ্জন দাশ, তপন দাসগুপ্ত এবং তপন দেবনাথ। আশি দশকের প্রথম দিকে আমি সুজিত রঞ্জন দাশের কবিতা লিটিল ম্যাগাজিনে দেখেছিলাম। আমি তখনো বেকার। আমি তখন ‘বিলাপ’ নামে একটি লিটিল ম্যাগাজিন বের করতাম, যা আমি টিউশানি করে টাকা জমিয়েই বের করতাম। সুজিতদা (সুজিত রঞ্জন দাশ) থাকতেন ত্রিপুরার খোয়াইতে, সরকারি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। আমার সঙ্গে চিঠির মাধ্যমেই যোগাযোগ। আমাকে কবিতাও পাঠাতেন। তারপর চাকুরি পেয়ে আমি পোস্টিং পেলাম খোয়াইতে। দেখলাম আমার এক কলিগেরও তিনি দাদা। আমিও খোয়াই ভাড়াবাড়িতে তখন থাকতাম। ফলে খোয়াইতে তখন প্রায়ই একটা সাহিত্যের আড্ডা গড়ে উঠতে আসুবিধে হয় নি। সেই সময় সুজিতদা ও আমরা কয়েকজন মিলে চাঁদা করে ‘আজকাল’ নামে একটা সাহিত্যের কাগজ বের করতে শুরু করেছিলাম। বলা বাহুল্য, এখনকার ‘আজকাল’ দৈনিক পত্রিকার জন্ম তখনো হয়নি। এক বছরের মধ্যে আমি আবার অন্য জায়গায় ট্র্যান্সফার হয়ে চলে গেলাম। তারপর সত্যি বলতে কী, কাজের চাপে প্রায় একদম যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছিল। মাঝখানে খবর পেয়েছিলাম, সুজিতদার প্রতিজ্ঞা সফল হয়েছে। উনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, অসবর্ণ বিয়ে ছাড়া তিনি জীবনে বিয়ে করবেন না। তিনি শেষে একজন ব্রাহ্মণ মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন। বছর খানেক পর আবার খবর পেলাম, ব্রেন স্ট্রোকে তিনি হঠাৎ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। সুজিত রঞ্জন দাশের তিনটি কবিতা এখানে দেওয়া হল। আর তপন দাশগুপ্ত ছিলেন ষাট-সত্তর দশকের কবি। তিনিও সরকারি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। আমার বাড়ি থেকে তাঁর বাড়ি হেঁটে গেলে ছ-সাত মিনিটের বেশি লাগে না। আশ্চর্য সেখানেই তাঁর সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত পরিচয় ছিল না নব্বই দশকের আগে পর্যন্ত। আমি জানতামও না তিনি আমার কাছাকাছি থাকেন। হয়তো একটা কারণ ছিল যে পরবর্তীকালে উনি বেশি লেখালেখি করতেন না, আমিও তাঁর লেখা খুব একটা পড়িনি। নব্বই দশকে পরিচয়ও হয়েছিল এক সেলুন দোকানে। পাড়ার এক দোকানে সেদিন আমি চুল কাটতে গেছি। উনি তাঁর ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে সেলুনে এসেছিলেন মেয়ের চুল কাটাবেন বলে। উনি তখন নিজেই আমার কাছে এসে নিজের পরিচয় দিয়ে আমার বিস্তারিত খবরাখবর নিয়েছিলেন। তখন থেকেই ব্যক্তিগত পরিচয়। ২০০০ সালে উনি প্রয়াত হন। এখানে তপন দাশগুপ্তের পাঁচটি কবিতা, একট গদ্য এবং ছড়াগুচ্ছ দেয়া হল। আর তপন দেবনাথের সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত পরিচয় না থাকলেও তাঁর লেখা পড়ে আমার মনে হয়েছে তিনি একজন প্রতিশ্রুতিবান কবি ছিলেন। মাত্র ২৯ বছর বয়েসে ১৯৯৯ সালে প্রয়াত হন। ‘প্রয়াস’ নামক এক লিটিল ম্যাগাজিন যৌথভাবে সম্পাদনা করতেন। ‘বিজয়’ নামে এক মাসিক কাগজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর প্রায় চারবছর পর প্রথম কাব্যগ্রন্থ “অবশেষে বাড়ি ফিরে যাবো” বের হয়। এখানে তপন দেবনাথের চারটি অপ্রকাশিত কবিতাগুলি পাঠিয়ে আমাকে সাহায্য করেছেন অপাংশু দেবনাথ। আশা করি এই তিনজন কবির লেখা পাঠকের ভালো লাগবে।
'মগের মুল্লুক' কথাটা কে না জানে। কিন্তু মগ জাতির কথা অনেকেই জানেন না। জানুন। (পড়ার জন্যে ক্লিক করুন)
সাহিত্য জিনিসটা কী, মানুষ মনুষ্যত্ব ও সাহিত্যের বোঝাপড়ায় একজন লেখক বা কবির বোধশক্তির গতিময়তা -- সেসব নিয়েই লিখেছেন নকুল রায়। (পড়ার জন্যে ক্লিক করুন)
সত্তর দশকে তপন দাশগুপ্ত 'হাল' নামে এক কাগজ বের করতেন। সম্পাদকের দায়বদ্ধতা নিয়েই তাঁর গদ্য। (পড়ার জন্যে ক্লিক করুন)
ধর্ষণ হয়। ঘটনা জানাজানি হলে মিডিয়ায় যেন ঝড় বয়ে যায়। প্রতিবাদ, মিছিল, বিক্ষোভ -- তারপর ? (পড়ার জন্যে ক্লিক করুন)
তমাল আর অন্যন্যার মধ্যে এক ভালবাসা শুরু হয়েছিল। সেটা গড়িয়েছিল লিভ টুগেদারে। কিন্তু শেষ পরিণতি কী ? পড়ুন। (পড়ার জন্যে ক্লিক করুন)
সুকান্ত টের পায় শুভর একটা নিজস্ব জগৎ ধীরে ধীরে তৈরি হচ্ছে। সে জগতের পরিপূর্ণতা একদিন কীভাবে পাবে ? পড়ুন। (পড়ার জন্যে ক্লিক করুন)
মহাকবি কালিদাসের শ্লোক শোনার জন্যে উজ্জয়িনীর পথে যাবার সময় বাল্মিকীর সাথে ভানু সিংহের দেখা হয়ে যায়। এ নিয়েই গল্প। পড়ুন। (পড়ার জন্যে ক্লিক করুন)
ওলির যে দুনিয়া সেখানে সব জীবন্ত। পশুপাখি তাকে সবসময় হাতছানি দেয়। এর ভেতর এক ক্রূরতাও থাকে যা বাবা-মা টের পায় না। পড়ুন। (পড়ার জন্যে ক্লিক করুন)
বিশ্বসাহিত্য নিয়ে আমাদের আগ্রহের সীমা নেই। সে হিসেবে আমাদের ভারতীয় প্রতিবেশি সাহিত্য নিয়ে জানার আগ্রহ খুব একটা দেখা যায় না। মণিপুরের চারটি গল্পের অনুবাদ করেছেন সদানন্দ সিংহ। পড়ুন। (পড়ার জন্যে ক্লিক করুন)
বেকায়দায় পড়লে সবাই অসহায় হয়ে যায়। গুল্লিরও একদিন তাই হল। তাই নিয়েই অনুগল্প। পড়ুন। (পড়ার জন্যে ক্লিক করুন)
শিক্ষক ও ছাত্রীর সম্পর্ক নিয়ে অনেক কথা হয়। কিন্তু প্রভাতবাবুর ? পড়ুন। (পড়ার জন্যে ক্লিক করুন)
বই ও পত্রপত্রিকা নিয়ে নিয়মিত বিভাগ। আলোচনায় সদানন্দ সিংহ। পড়ুন। (পড়ার জন্যে ক্লিক করুন)
ছড়া নিয়মিত বিভাগ। ছড়া লিখেছেন দু'জন ছড়াকারঃ
১) তপন দাসগুপ্ত
২) শ্রীয়া ঘোষ সেন
এই লেখাটা শেয়ার করুন