ISHANKON A LITERARY WEBZINE IN BENGALI
ঈশানকোণ একটি বাংলা সাহিত্যের ওয়েবজিন

গ্রীষ্ম সংখ্যা মে ২০১৭ ইং
(বছরে চারবার যথাক্রমে ফেব্রুয়ারি, মে, অগাস্ট এবং নভেম্বর মাসে ঈশানকোণ প্রকাশিত হবে)
সম্পাদকঃ সদানন্দ সিংহ
Email: singhasada4@gmail.com
গল্প
বিশ্বদীপ দে, সদানন্দ সিংহ, বৈদূর্য্য সরকার, তনিমা হাজরা, নীহার চক্রবর্তী, এল বীরমঙ্গল সিংহ 
গল্পাণু
ব্রতীন বসু, সদানন্দ সিংহ, অজয় বৈদ্য
মুক্তগদ্য
অরুণিমা চৌধুরী, স্বর্ভানু সান্যাল
নিবন্ধ
দেবাশিস মুখোপাধ্যায়, অশোকানন্দ রায়বর্ধন
অন্যান্য
মুখোমুখি, আলোচনা, মতামত, লেখাজমা
ছড়া
দেবীস্মিতা দেব, শঙ্কর দেবনাথ,
কবিতা
মণিপুরের কবিতা, নকুল রায় ,  মাসুদ খান, দেবাশিস মুখোপাধ্যায়, প্রতিমা রায় বিশ্বাস, দিশারী মুখোপাধ্যায়, কুমারেশ তেওয়ারী, তৃষ্ণা বসাক, সদানন্দ সিংহ, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, তৈমুর খান, সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, পিয়ালী বসু, অরুণিমা চৌধুরী, তুষ্টি ভট্টাচার্যবনানী ভট্টাচার্য, নীতা বিশ্বাস, প্রণব বসুরায়, তমা বর্মণ, অঞ্জন বর্মন, তুষারকান্তি রায়, চয়ন ভৌমিক, কৃত্তিবাস চক্রবর্তী, কল্যাণব্রত চক্রবর্তী, অভিষেক ঘোষ, শুভেশ চৌধুরী, সন্তোষ রায়, মেঘনা চট্টোপাধ্যায়, বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী, সমিত ভৌমিক, মাধব বণিক, রুদ্রশংকররামেশ্বর ভট্টাচার্য, ব্রতীন বসু, চিরশ্রী দেবনাথ, আশুতোষ রানা, সুব্রত দেব, অভিজিৎ চক্রবর্তী, বিদিশা দাস, এ কে এম  আব্দুল্লাহ, শ্রীময়ী গুহ, শ্রীয়া ঘোষ সেন, রূপক গুহ, আনিস আহমেদ, সুবীর ঘোষ, সুবিনয় দাশ, দিলীপ দাস, লক্ষ্মণ বণিক, কাকলি গঙ্গোপাধ্যায়, সন্‌জিৎ বণিক
আর্কাইভ
ঈশানকোণ-১, ঈশানকোণ-২ঈশানকোণ-৩ঈশানকোণ-৪
ডাউনলোড
ঈশানকোণ PDF, অন্যান্য বই PDF
[ওয়েব ডিজাইনঃ সদানন্দ সিংহ]

প্রসঙ্গঃ ধর্ম

“ধর্ম কি কেবল পুঁথির মন্ত্রে ? দেবতা কি কেবল মন্দিরের প্রাঙ্গণে ? মানুষকে যারা কেবলই ফাঁকি দেয় দেবতা কি তাদের কোনোখানে আছ?" --- রবীন্দ্রনাথ, রাশিয়ার চিঠি: ৯।
“ধর্ম মানুষকে মুক্তি দেয়, এই জন্য ধর্মকে সকলের চেয়ে মুক্ত রাখা চাই; কিন্তু ধর্ম যেখানে দলের বেড়ায় আটকা পড়ে সেখানেই ক্রমশই তাহার ছোটো দিকটাই বড়ো দিকের চেয়ে বড়ো হইয়া উঠে”। --- রবীন্দ্রনাথ, পথের সঞ্চয়, ইংলন্ডের পল্লীগ্রাম ও পাদ্রি।
"যুগে যুগে জ্ঞানের পরিধিবিস্তার, তার অভিজ্ঞতার সংশোধন, তার অবস্থার পরিবর্তন চলছেই; মানুষের মন সেই সঙ্গে যদি অচল আচারে বিজড়িত ধর্মকে শোধন করে না নেয় তাহলে ধর্মের নামে হয় কপটতা নয় মূঢ়তা নয় আত্মপ্রবঞ্চনা জমে উঠতে থাকবেই।" --- রবীন্দ্রনাথ, পারস্যে: ৬।
“ঈশ্বরের ভজনা ভক্তিরস সম্ভোগ করার উপায়মাত্র নহে। তাঁহাকে ফুল দিয়া, নৈবেদ্য দিয়া, বস্ত্র দিয়া, স্বর্ণ দিয়া, ফাঁকি দিলে যথার্থ আপনাকেই ফাঁকি দেওয়া হয়; ভক্তি লইয়া খেলা করা হয় মাত্র এবং এইরূপ খেলায় যতই সুখ হউক তাহা মনুষ্যত্বের অবমাননা। " --- রবীন্দ্রনাথ, চারিত্রপূজা, যিশুচরিত।

প্রসঙ্গঃ ভেদাভেদ

"শত শত বছর ধরে মানুষের প্রতি অপমানের বিষ আমরা বইয়ে দিয়েছি ভারতবর্ষের নাড়ীতে নাড়ীতে। হীনতার অসহ্য বোঝা চাপিয়ে দিয়েছি শত শত নত মস্তকের উপরে; তারই ভারে সমস্ত দেশ আজ ক্লান্ত, দুর্বল।" --- রবীন্দ্রনাথ, চারিত্রপূজা, মহাত্মাজির পুণ্যব্রত।
“কেন যে একজনের ছোঁয়া দুধ বা খেজুর রস বা গুড় খাইলে অপরাধ নাই, জল খাইলেই অপরাধ --- কেন যে যবনের প্রস্তুত মদ খাইলে জাত যায় না, অন্ন খাইলে জাত যায় এসব প্রশ্ন জিগ্গাসা করিলে ধোবা নাপিত বন্ধ করিয়াই মুখ বন্ধ করিয়া দিতে হয়।" --- রবীন্দ্রনাথ, পরিচয়, হিন্দু- বিশ্ববিদ্যালয়।
"আমাদের দেশে হরিজন-সমস্যা এবং হিন্দু-মুসলমান সমস্যার মূলে যে মনোবিকার আছে তার মতো বর্বরতা পৃথিবীতে আর আছে কিনা জানিনে।" --- রবীন্দ্রনাথ, চারিত্রপূজা, ভারতপথিক রামমোহন রায়
“এ দেশ কোনো বিশেষ একটি জাতি বা বিশেষ একটি সভ্যতার দেশ নয়। এ দেশে আর্যসভ্যতাও যেমন সত্য, দ্রাবিড় সভ্যতাও তেমনি সত্য, এ দেশে হিন্দুও যত বড়ো, মুসলমানও তার চেয়ে নিতান্ত কম নয়।" --- রবীন্দ্রনাথ, শিক্ষা, ছাত্রশাসনতন্ত্র.

প্রসঙ্গঃ মুসলমান

“এক্ষণে যদি ভারতবর্ষীয় জাতি বলিয়া একটা জাতি দাঁড়াইয়া যায়, তবে তাহা কোনোমতেই মুসলমানকে বাদ দিয়া হইবে না।" --- রবীন্দ্রনাথ, সমাজ, কোট বা চাপকান।
“মুসলমানকে যে হিন্দুর বিরুদ্ধে লাগানো যাইতে পারে এই তথ্যটাই ভাবিয়া দেখিবার বিষয়, কে লাগাইল সেটা তত গুরুতর বিষয় নয়। শনি তো ছিদ্র না পাইলে প্রবেশ করিতে পারে না; অতএব শনির চেয়ে ছিদ্র সম্বন্ধেই সাবধান হইতে হইবে।" --- রবীন্দ্রনাথ, সমূহ, ব্যাধি ও প্রতিকার।
"আমাদের হিন্দুসমাজে গোহত্যা পাপ বলে গণ্য, অথচ সেই উপলক্ষে মানুষ-হত্যা ততদূর পাপ বলে মনে করি না। মুসলমানের অন্ন খেয়েছে বলে শাস্তি দিই, মুসলমানের সর্বনাশ করেছে বলে শাস্তি দিই না।" --- রবীন্দ্রনাথ, সাহিত্যের পথে।
“মুসলমান একটি বিশেষ ধর্ম কিন্তু হিন্দু কোনো বিশেষ ধর্ম নহে। হিন্দু ভারতবর্ষের ইতিহাসের একটি জাতিগত পরিণাম।" --- রবীন্দ্রনাথ, পরিচয়, আত্মপরিচয়।
"যখন তাজমহলের সামনে গিয়ে দাঁড়াই তখন এ তর্ক মনে আসে না যে, এটা হিন্দুর কীর্তি না মুসলমানের কীর্তি। তখন একে মানুষের কীর্তি বলেই হৃদয়ের মধ্যে অনুভব করি।" --- রবীন্দ্রনাথ, জাপানযাত্রী।

HOST ANYWHERE

Publish your website to a local drive, FTP or host on Amazon S3, Google Drive, Github. Don't limit yourself to just one platform or service provider. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit. Laboriosam, nisi, ea. Excepturi dolores, laborum ipsum soluta aliquid, ullam repellat ratione iste harum voluptatem? Alias id blanditiis, sequi possimus dolorem dolorum.

IMAGE/CONTENT SLIDER

Create a responsive, touch-swipe slideshow with Mobirise bootstrap slider. Add images, text, buttons to slides, set autoplay, full-screen, full-width or boxed layout. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit. Unde sunt, illo quo ipsa. Laboriosam voluptatem sunt nisi velit incidunt labore, sapiente pariatur ipsam fugiat doloremque asperiores eos ipsum, eveniet cum.

CONTACT FORMS

Easily add subscribe and contact forms without any server-side integration. Just link your email to form and get submissions instantly. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit. Accusantium id perspiciatis, sint odit error animi veniam omnis cupiditate distinctio, a quidem deleniti laborum maiores optio laudantium earum vel! Sint, rerum.

এবারের গল্প এবং অনুবাদ গল্প

বিশ্বদীপ দের গল্প
বীজমন্ত্র

গতকাল রাত্রেই আমার মারা যাওয়ার কথা। এইসময় আমার নিথর দেহটা শুয়ে থাকার কথা মর্গের শীতল অন্ধকারে।
আজ একটু আগেই জানতে পারলাম ব্যাপারটা। যখন সম্রাট ওর বাইকের হেলমেটটা দেখাল, ... (পড়ার জন্যে ক্লিক করুন)

সদানন্দ সিংহের গল্প
সরীসৃপ

দুটো সাপ ফণা তুলে দাঁড়িয়ে। সামনে আমি। আই বাপ, সাপেরা কি অত উঁচুতে মাথা তোলে! কাটা জিভ দুটো হি-স-স করে বের হয়েই ঢুকে যাচ্ছে। হি-স-স করে যেন বাতাস কাটছে, মুখ শুকিয়ে গেলে যেমন হয়। যেমন আমার। ... 
(পড়ার জন্যে ক্লিক করুন)

বৈদূর্য্য সরকারের গল্প
স্বপ্নবৃত্তান্ত

ওদের নিয়মিত দেখা হত। সকালে ভিড় বাসে অফিস যাওয়ার সময় কিংবা বাড়ি ফেরার সময়। মুখচেনা হয়ে গেলে যা হয়— বুঝতে পারার মতো মৃদু হাসি কিংবা তাকানো। পাশে বসলেও সোহম কথা বলার চেষ্টা করেনি কখনও।  ... 
(পড়ার জন্যে ক্লিক করুন)

তনিমা হাজরার গল্প
সব কিছু কবিতা নয় 

সেদিন ভোরে দরজা খুলে বেরোবার পর নীলিমা প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল রানি মাসিমার সঙ্গে। তাকে দেখে চমকে উঠেছিলেন তিনি। ঠোঁটের পাশটা কেটে গিয়ে একটু ফুলে রয়েছে। থুতনিতেও বেশ কালশিটে। হাঁটার গতি ... (পড়ার জন্যে ক্লিক করুন)

নীহার চক্রবর্তীর গল্প
একবার এসেছিলো নীরবে

ভাদুরিবাড়ির ছোট ছেলে রাজন গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলো। চারদিকে সাড়া পড়ে গেলো খুব। ও বাড়িতে কেউ আত্মহত্যা করতে পারে কেউ ভাবতে পারেনি। উচ্চশিক্ষিত বাড়ি। অর্থের কোন মা-বাপ...
(পড়ার জন্যে ক্লিক করুন)

বীরমঙ্গল সিংহের
গল্প
পিণ্ডদান

হামারি সাথ ঘুমনে আয়া হ্যায় - একথা বলে রেলে আসার পথে পরিচয় হওয়া বিহারের সেই দুই যুবক আমাদের দুই ভাইকে সামনে পেছনে পাহারা দিয়ে পাণ্ডাদের খপ্পর থেকে মুক্ত করে গয়া রেল স্টেশনের বাইরে নিয়ে য়াওয়ার চেষ্টা ...
(পড়ার জন্যে ক্লিক করুন)

আগামী ঈশানকোণ অগাস্ট সংখ্যার সঙ্গে কবি সুবিনয় দাশের নতুন কাব্যগ্রন্থ e-book হিসেবে প্রকাশিত হবে ISHANKON a literary webzine in bengali ঈশানকোণ একটি সাহিত্যের ওয়েবজিন Email to: singhasada@gmail.com

ইদানীং একটা কথা প্রায়ই শুনি, সেটা হচ্ছে – ফেসবুক সাহিত্য। “ফেসবুক সাহিত্য” নামটা শুনে অনেকে আবার নাক কোঁচকান, এটা আবার সাহিত্য নাকি! আবার অনেকে অত্যুৎসাহে বলেন, ডিজিটাল যুগের পক্ষে ফেসবুক সাহিত্যই উত্তম। সত্যি কথা বলতে গেলে ফেসবুককে একটা সাহিত্যের মাধ্যম বলে অনায়াসেই স্বীকার করা যায়। আগে যেমন একটা লেখা প্রকাশ করার জন্যে কোন সাহিত্যের পত্রিকায় বা ম্যাগাজিনে পাঠিয়ে দিনের পর দিন অপেক্ষা করে থাকতে হত, সেখানে এই অপেক্ষার কোনো প্রয়োজন নেই এই ফেসবুকে। তারপর ধরুন, আপনার লেখা কোনো পত্রিকায় বা লিটল ম্যাগে প্রকাশিত হলো যেটার প্রচারসংখ্যা হয়তো একশো বা কয়েকশো, কিন্তু পাঠক কতো জন সেটা কেউ সঠিকভাবে বলতেও পারবেন না। হয়তো সেটা পাঁচ হতে পারে বা বড়জোর পঞ্চাশ হতে পারে। সেদিক দিয়ে ফেসবুকে পাঠকের সংখ্যা অনেক বেশি। তবে ফেসবুকটা অনেকটা ফ্রি স্টাইল রেস্টলিং-এর মতো, যে যা খুশি লিখে ইচ্ছেমতো নিজের দেয়ালে পোস্টালেই হল, পাঠকগণকে ডেকে আনার দরকার নেই। তবে সমস্ত পাঠকরা পড়ার পর লাইক-কমেন্ট নাও করতে পারেন। লাইক-কমেন্ট পাবার জন্যেও এখানে সার্কেল-এ থাকতে হয়। সে সার্কেলে থাকলেই ‘অসাধারণ’ শব্দের কোনো ঘাটতি হয়না। তার জন্যে মোটেই অসাধারণ লেখার দরকার হয়না। যেহেতু এখানে নিজের লেখার নিজেই সম্পাদক, তাই প্রশ্ন উঠে লেখার মান নিয়ে এবং লাইক-কমেন্ট দিয়ে মান যাচাই করা যায়না। অনেকেই এখানে হাত পাকাচ্ছেন। কোনো কিছুই খারাপ নয়। অনেক ভালো লেখাও দেখতে পাই। সত্যিই এই প্ল্যাটফর্মের তুলনা হয়না। তবে একটা খারাপ দিকও আছে, সেটা হচ্ছে আয়ু। যত ভালো লেখাই হোক না কেন, ফেসবুকে তার আয়ু মাত্র কয়েকদিন। তারপর সব চাপা পড়ে যায়। সেদিক থেকে ওয়েবজিন বা ব্লগজিনের মেয়াদ অনেক দীর্ঘস্থায়ী।
গত ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সংখ্যার জন্যে মতামত জানিয়েছিলেন banani bhattacharyya, দিশারী মুখোপাধ্যায়, arunima chowdhuri, chirasree debnath, দেবাশিস মুখোপাধ্যায়, sriya ghosh sen, kumaresh tewary, riya debi, debismita deb, ashutosh rana, pranab basu ray, aniruddha das, indranil sengupta, subhesh chaudhury, যুগান্তর মিত্র, apangshu debnath, chayan bhowmick, asokananda raybardhan --- সবাইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।  

এই লেখাটা শেয়ার করুন